বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সদস্য পদে তিন জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে দুই জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বরিশাল সার্কিট হাউসের সভা কক্ষে প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠান এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল আলম এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান।
চেয়ারম্যান পদে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। একইভাবে সাধারণ সদস্যের তিনটি পদে (৮, ৯ ও ১০নং ওয়ার্ড) এবং সংরক্ষিত সদস্যের দুইটি পদে (১ ও ৪নং ওয়ার্ড) প্রার্থী না থাকায় তাদেরও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এর পরপরই সাধারণ সদস্যের সাতটি পদের বিপরীতে থাকা ২৪ প্রার্থী এবং দুইটি পদের বিপরীতে থাকা ৯ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। চারটি ওয়ার্ডের সাতটি কেন্দ্রে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার ১ হাজার ২৮৭ জন।
বনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন জেলা পরিষদকে দুর্নীতি মুক্ত করে এর সেবা মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দেবেন বলে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘যেখানে জেলা পরিষদের কাজ কী, তা আজও সাধারণ মানুষ জানে না। তাদের কাজের পরিধিও জানানো হবে।’ সেবাদান প্রতিষ্ঠানটিকে কোনোভাবেই দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করতে দেবেন না বলে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন হায়দার সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কোনোভাবে নির্বাচনি আইন ভঙ্গ করা যাবে না। এ জন্য তিনি সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা চান।’