X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

খাগড়াছড়ির বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৩৪আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৩৪

খাগড়াছড়ি জেলার ৯ উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। ফেব্রুয়ারি মাসে যেন তেন ভাবে ভাষা শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও, আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের তাৎপর্য বা গুরুত্ব নেই শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় সব মিলিয়ে ৭২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ৫৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৮টি কলেজ, ৩৫টি মাদ্রাসা, ভোকেশনাল এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ছয়টি। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলেও কোনও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা আরও খারাপ। ৫৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার আছে মাত্র ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সব মিলিয়ে মোট ৮৭টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে।

খাগড়াছড়ির বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার খাগড়াছড়ি সদরের কমলছড়িমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, মাটিরাঙা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেক জানান, বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষা দিবস. ভাষা সৈনিক, ভাষা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে অবগত নয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলে শিক্ষার্থীরা সে বিষয়ে বাস্তবিক জ্ঞানসহ ব্যাপক ধারণা পেতো।

 খাগড়াছড়ি সদরের এপি ব্যাটালিয়ন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম ইলিয়াছ আজম, পানখাইয়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, তাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। ভাষা দিবসের দিনে অস্থায়ীভাবে মিনার বানিয়ে অথবা খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন সংলগ্ন মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ভাষা শহীদ, শহীদ মিনার আমাদের ইতিহাসের অংশ হলেও সে সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম খুব কমই ধারণা পাচ্ছে।

 জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয় জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে। জেলা পরিষদ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একটি করে শহীদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দেশের মানচিত্র, পতাকা ও ইতিহাস বোঝাতে হলে তার মূলে যেতে হবে। ভাষা আমাদের সব ইতিহাসের মূল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ভাষা, ভাষা শহীদ ও ভাষা দিবসের তাৎপর্য বোঝাতে সরকার পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করছে।

 খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার তাৎপর্য বোঝাতে হলে ভাষা দিবসের তাৎপর্য বুঝতে হবে। আর তার জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়, উন্নয়নের অপপ্রচার করলে ব্যবস্থা
মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রীগণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়, উন্নয়নের অপপ্রচার করলে ব্যবস্থা
‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন
ইউক্রেনের শান্তি আলোচনায় আমন্ত্রণ পায়নি রাশিয়া: সুইজারল্যান্ড
ইউক্রেনের শান্তি আলোচনায় আমন্ত্রণ পায়নি রাশিয়া: সুইজারল্যান্ড
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ