X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের খুঁজে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: আইজিপি

রাঙামাটি প্রতিনিধি
২৬ মে ২০২২, ১৯:৪৫আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ১৯:৪৫

পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, আমি সন্ত্রাসীদের সব সময় বলি জনগণ ও রাষ্ট্রের ক্ষমতা যারা অবজ্ঞা করার সাহস দেখায়, তারা আহম্মক। রাষ্ট্র ও জনগণের কাছে এই সব অপশক্তি তুচ্ছ। সবার সহযোগিতা নিয়ে এইসব লোকদের খুঁজে বের করবো এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে রাঙামাটি নিউ পুলিশ লাইন্সে তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি করে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) হেডকোয়ার্টার্স ক্যাম্প এবং রাঙামাটিতে এপিবিএনের ডিআইজি অফিসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে পাহাড়ের ১৩৫ জন মানুষ খুন হয়েছেন। যা গড়ে প্রতি দুই মাসে পাঁচ জন। কিন্তু পাহাড়ের তিন জেলায় মাত্র ১৬ লাখ মানুষের বসবাস। আর পুরো দেশে ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। সরকার যদি দেশের একটি বড় অংশে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী বন্ধ করতে পারে, তাহলে এই পার্বত্য এলাকাতেও সম্ভব। 

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও উপস্থিত ছিলেন। জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা ও সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদীন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর জনসংহতি সমিতির সদস্যরা অস্ত্র সমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। দুই দশকের পাহাড়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করে। কিন্তু চুক্তির কয়েক বছর যেতে না যেতেই পাহাড়ে আবারও শুরু হয় রক্তপাত। ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের মাধ্যমে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পাহাড়। একটি আঞ্চলিক সংগঠন বিভক্ত হয়ে বর্তমানে চারটি সংগঠন সৃষ্টি হয়েছে। আর এই চার সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে প্রায়ই রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আরও দুটি সন্ত্রাসী সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে।

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
মানবিকতায়ও নজির স্থাপন করেছে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
প্রতিদিন খোয়া যাচ্ছে সহস্রাধিক মোবাইল, উদ্ধারে আগ্রহ কম পুলিশের
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
সর্বশেষ খবর
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক