পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও খাগড়াছড়িতে দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। ঈদের ছুটিতে ঘুরতে এসে প্রাণ হারান তারা।
ঈদে বেড়াতে এসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ ২৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া উপকূলের সৈকতে মরদেহটি ভেসে আসে বলে জানান জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা।
মৃত মোহাম্মদ তারেক (১৪) নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহ ফকির বাজার এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
মাসুদ রানা জানান, সোমবার সকালে ঈদের নামাজ শেষে ঈদগাঁও উপজেলার শাহ ফকির বাজার এলাকা ৭ কিশোর বন্ধু মিলে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসে। তারা ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে সৈকতের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টের মাঝামাঝি স্থানে গোসলে নামে। এসময় ভাটার স্রোতের টানে কিশোর ভেসে যায়। অন্য বন্ধুদের চিৎকারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন উদ্ধারের চেষ্টা করেও সফল হয়নি। পরে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া উপকূলের সৈকতে একটি মৃতদেহ ভেসে আসার খবর দেয় স্থানীয়রা। বিচকর্মীদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে মৃত কিশোরের স্বজনরা লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।
পর্যটন সেলের এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, মৃতদেহটি কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলাধীন মাইনী ব্রিজের মাঝখানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক পর্যটক নিহত হন। মৃত ব্যক্তি চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানার খিল মুরারী গ্রামের শাহ আলম শেখের ছেলে রাজিব শেখ (২৫)।
দিঘীনালা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাজেক থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ফেরার পথে দিঘীনালা মাইনী ব্রিজের ওপর বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। আহত পর্যটককে উদ্ধার করে দিঘীনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশের পোস্টমর্টেম করার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাস্তা সরু হওয়ার কারণে প্রায়ই এই ব্রিজে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।