বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত এলাকায় আবারও স্থলমাইন বিস্ফোরণে আরাফাতুল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে জামছড়িতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৪৪ নম্বর পিলার সংলগ্ন জিরো লাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত কিশোর জামছড়ি এলাকার খুইল্যা মিয়ার ছেলে। এ নিয়ে গত ছয় মাসে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তে সাতটি স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত কিশোর ও তরুণের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী সীমান্তে এসব মাইন পুঁতে রেখেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাইন বিস্ফোরণে ওই কিশোরের বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্বজনরা খবর পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও জামছড়িপাড়ার বাসিন্দা সাবের হোসেন জানিয়েছেন, ওই কিশোর রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করে। সে সীমান্ত সড়কের পাশে বাঁশ সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। ওই এলাকায় এসব মাইন বসিয়ে রেখেছে আরাকান আর্মি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুরুল হক জানিয়েছেন, তাদের প্রাপ্ত তথ্যমতে সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে প্রায় ২৫০ মিটার মিয়ানমারের ভেতরে স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাংলাদেশি কিশোর আরাফাত আহত হয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।