X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে বন্ধ, সেবাবঞ্চিত রোগীরা

কাজী তানভীর মাহমুদ, রাজবাড়ী
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০৯আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩৭

ডিজিটাল এক্স-রে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে প্রিন্টার নষ্ট থাকায় বন্ধ রয়েছে ডিজিটাল এক্স-রে সেবা। ফলে বাধ্য হয়ে এনালগ সেবা নিচ্ছেন রোগীরা। এতে সাঠিক পরীক্ষা না হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। বেশি সমস্যায় পড়ছেন ভাঙা হাড় নিয়ে আসা রোগীরা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আইকো কোম্পানির তৈরি ৫০০ এমএ এক্স-রে মেশিন সাপ্লাই করে বেঙ্গল সাইনটিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট হঠাৎ এক্স-রে মেশিনের প্রিন্টার বিকল হয়ে পড়ে। ফলে প্রিন্টারের প্রায় ৯ হাজার পিস ফ্লিম অলস পড়ে আছে; যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা। এরপর অনেকবার সাপ্লাইকারী প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েও কোনও সুরাহা পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অ্যানালগ এক্স-রে দিয়ে কাজ চলছে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা হাতভাঙা রোগী মিনা বেগম বলেন,‘ভাঙা হাত এক্স-রে করাতে এসেছি। শুনলাম ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন নষ্ট। তাই বাধ্য হয়ে এনালগ এক্স-রে করালাম।’
বুক এক্স-রে করাতে আসা আরশেদ মোল্লা (৫০) বলেন, ‘ডিজিটাল এক্স-রেতে সঠিক পরীক্ষা হয়। কিন্তু হাসপাতালের লোকেরা বলছেন মেশিন নষ্ট।’
১৪ বছরের কিশোর স্বপ্নিলের অবিভাবক মো. ইলিয়াস মোল্লা বলেন,‘ছেলে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছে। ড্ক্তার বললেন, এক্স-রে করাতে। সদর হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে হবে না। তাই বাইরে থেকে করিয়ে আনতে যাচ্ছি।’
জেলা শহরের বড়পুল এলাকার ছোট্ট শিশু সিনথিয়ার অভিবাবক মো. এনায়েত সেখ বলেন, ‘মেয়ে সিনথিয়ার বয়স মাত্র ২ বছর। খেলতে গিয়ে হাত ভেঙে গেছে। ডাক্তার ডিজিটাল এক্স-রে করাতে বলেছেন। সদর হাসপাতালে এসে দেখি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন নষ্ট। তাই বাধ্য হয়ে এনালগ এক্স-রে করিয়েছি।’
নষ্ট প্রিন্টার রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট মো. মতিউর ইসলাম জানান, গত বছরের ১২ আগস্ট ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের প্রিন্টার বিকল হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ডিজিটাল এক্স-রে হচ্ছে না। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জন হাসপাতালে এক্স-রে করাতে আসেন। সদর হাসপাতালে এনালগ এক্স-রে সেবা নিতে বড় ফ্লিমে ৭০ এবং ছোট ফ্লিমে ৫৫ টাকা; আর ডিজিটাল এক্স-রে করাতে বড় ফ্লিমে ২শ’ এবং ছোট ফ্লিমে দেড়শ’ টাকা লাগে। পাশাপাশি এই ডিজিটাল প্রিন্টারের প্রায় ৯ হাজার ফ্লিম পড়ে আছে; যা এই প্রিন্টার ছাড়া অন্য কোনও প্রিন্টারে ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দীলিপ কুমার বিশ্বাস জানান,ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের প্রিন্টারটি সচলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার ফোন ও চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সমস্যাটি সমাধানে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য,রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ রোগী স্বাস্থ্যসেবা নেন। এর মধ্যে প্রায় ২শ’ রোগী আন্তঃবিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকেন। আর প্রতিদিন এক্স-রে সেবা নিতে আসেন শতাধিক হাড় ভাঙা রোগী।

 

 

 

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
১০ মাসে এলো রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স
১০ মাসে এলো রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
টেকনাফে অপহরণের শিকার একই পরিবারের ৩ জনকে উদ্ধার
টেকনাফে অপহরণের শিকার একই পরিবারের ৩ জনকে উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে