করোনাভাইরাসের লাগাম টেনে ধরতে সারাদেশে চলছে সরকার আরোপিত সীমিত পরিসরের লকডাউন। এ সময়ে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন, শপিংমল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দেশব্যাপী লকডাউন বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (২৯ জুন) জেলায় জেলায় অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে লকডাউন অমান্য করে চলাচল, যানবাহন চালু ও দোকান খোলা রাখায় জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো জেলাভিত্তিক জরিমানার তথ্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
শরীয়তপুর
এ জেলার সদর উপজেলায় দোকানপাট খোলা রাখায় ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শরীয়তপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মন্দীপ ঘরাই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ অর্থদণ্ড করেন।
নারায়ণগঞ্জ
লকডাউনে দোকানপাট খোলা রাখায় এ জেলায় ৫৫ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। চাষাঢ়া, খানপুর, বঙ্গবন্ধু সড়ক ও বালুরমাঠসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন মুহাম্মাদ আলীর নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।
পঞ্চগড়
এ জেলার সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তিন দোকানদার ও ছয় পথচারীকে জরিমানা করা হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোলেমান আলী এই জরিমানা করেন। সবমিলিয়ে এখানে এক হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
হবিগঞ্জ
সরকার আরোপিত লকডাউন অমান্য করে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দোকানপাট খোলা রাখায় সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়কে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ অর্থদণ্ড করেন।
