মাদারীপুর শিবচরে পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হারের পর প্রতিপক্ষের সমর্থককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা কোহিনুর শিকদার (৪০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করে। উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদারহাট সংলগ্ন সকিনা শিকদার ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত কোহিনুর শিকদার ওই ইউনিয়নের তাহের শিকদারের কান্দি গ্রামের আবদুল লতিফ শিকদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবচরে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বন্দোরখোলা ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বন্দরখোলা ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নবেল শিকদার এবং মোটরসাইকেল প্রতীকের মো. মিজানুর রশিদ শিকদার নামে আপন দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরা দুই ভাই নির্বাচনে পরাজিত হন।
নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার কোহিনুর শিকদার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মিজানুর রশিদ শিকদারের কর্মী ছিলেন। নির্বাচনের পর সন্ধ্যার পরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফেরার পথে তিনি হামলার শিকার হন। এসময় নবেল শিকদারসহ তার সমর্থক লিপু শিকদার, রিপন শিকদার, ময়ফল শিকদারসহ ৭-৮ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করে বলে অভিযোগ করেন কোহিনুর।
আহতের ভাই কামাল শিকদার বলেন, আমরা বাজারে দাঁড়ানো। দেখি কয়েকজন চাইনিজ কুড়াল নিয়ে ধর ধর বলে শব্দ করছে। এসময় দেখি আমার ভাইকে তারা এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে। তখন হামলা থেকে বাঁচাতে কয়েকজন লোক ভাইকে ধরে রাখে। পরে আমরা ভাইকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যানপ্রার্থী মিজানুর রশিদ শিকদার বলেন, আমি নির্বাচন শেষ করে বাড়িতে ছিলাম। কিছুক্ষণ পরে শুনতে পারি নবেলের লোকজন (এলাকার ও কয়েকজন ঢাকা থেকে আসছে) তারা সবাই মিলে আমার চাচাতো ভাই ফারুক শিকদারের বাড়িতে হামলা করতে আসে। কারণ তারা নির্বাচনে পরাজিত হন। এমন সময় আমার আরেক চাচাতো ভাই কোহিনুর তাদের বাধা দিলে তারা তাকে মারধর করা হয়।
তবে এ বিষয়ে জানতে নবেল শিকদারের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আহত কোহিনুর শিকদারকে শিবচর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।