উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বেড়ে আবার তৈরি হয়েছে ফসলডুবির আশঙ্কা। এ অবস্থায় কৃষকদের ধান দ্রুত কেটে ফেলার আহ্বান জানিয়ে এলাকায় মাইকিং অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সোমবার (১৮ এপ্রিল) নেত্রকোনায় ধনু নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কিশোরগঞ্জেও পানি বাড়ছে। এছাড়া হাওরের মেঘনা, কালনী ও কুশিয়ারার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এছাড়া ইটনায় ধনু নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে জিওলের বাঁধ।
কিশোরগঞ্জের তিনটি হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে চলতি মওসুমে ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। ফসল রক্ষা বাঁধগুলো এখনও অক্ষত থাকলেও পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় আগাম বন্যায় ফসলডুবির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
দুই সপ্তাহ আগে উজানের ঢলে তলিয়ে যায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমির ধান। এরই মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ফসলডুবির আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষক।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ছাইফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হাওরে পুরোদমে ধান কাটা চলছে। প্রায় ২৫০টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ধান কাটার কাজে ব্যাবহৃত হচ্ছে। এছাড়া প্রচুর বাইরের শ্রমিকও কাজ করছেন। তবে পানি বাড়তে থাকায় ফসল তোলা বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কিশোরগঞ্জে এখন পর্যন্ত হাওরে কোনও বাঁধ ভাঙেনি। আমরা বাঁধগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছি। তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্যও আমাদের লোকজন কাজ করছে।