X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় মেম্বারের স্বামী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩৪আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩৪

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় হতদরিদ্রদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিজিটাল ডাটাবেজ অন্তর্ভুক্তিতে টাকা আদায় ও স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। 

অভিযুক্তরা হলেন—উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালের ডিলার এম এম নাসির ও ইব্রাহিম মোল্যা এবং ইউপি সদস্য লিপি বেগম। ইব্রাহিম মোল্যা রাজপাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করে সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় কাশিয়ানী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৬০০ উপকারভোগী স্বল্পমূল্যে চাল পান। চলতি বছরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে
উপকারভোগীদের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি এবং কার্ডধারী মৃত ও সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম পরিবর্তন করে প্রকৃত দরিদ্র, ভূমিহীন কৃষক, দিনমজুর ও উপার্জনে অক্ষম ব্যক্তিদের নাম ডিজিটাল ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযোগ উঠেছে, রাজপাট ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার এম এম নাসির ও ইব্রাহিম মোল্যা নতুন সংশোধিত উপকারভোগীদের ডিজিটাল ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্তির নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করছেন। এছাড়া অর্থের বিনিময় ও স্বজনপ্রীতি করে ডিলাররা নিজস্ব লোকজনের নাম ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ ইউনিয়নে ২০৪টি নতুন (সংশোধিত) কার্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

উপকারভোগী বোরহান খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউপি সদস্য লিপি বেগম আমার নাম কেটে তার স্বামী সোহরাফ আলীর নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এছাড়া তিনি স্বজনপ্রীতি করে কাছের লোকজনের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।’

৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার লিপি বেগম তারিকুল নামে এক ব্যক্তির নাম কেটে স্বামী সোহরাব মোল্যার নাম অন্তর্ভুক্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার স্বামীসহ নতুন সাত জনের নাম তালিকায় দিয়েছি। আর এ জন্য ডিলার নাসিরকে ৩০০ করে টাকা দিতে হয়েছে।’

টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে এম এম নাসির বলেন, ‘৩০০ টাকা নেওয়া হয়নি। তবে প্রসেসিং ও অফিস খরচ বাবদ ২০০ করে টাকা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা খাদ্য অফিসে টাকা দেওয়া লাগে। অফিসে টাকা না দিলে কি তারা ফাইল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে?’

কাশিয়ানী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম অফিসে টাকা নেওয়ার কথা মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘এসবের দায়-দায়িত্ব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান-মেম্বারদের। এখানে শুধু তদারকির দায়িত্ব আমাদের। ইউএনও স্যার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করবো।’

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘এ বিষয় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনিয়মের সত্যতা পেলে তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।’

/এসএইচ/
সম্পর্কিত
জয়পুরহাটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চট্টগ্রামে কাস্টমসে দুদকের অভিযান
‘দুর্নীতিবাজ’ সেই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে
চাঁদপুর ও ময়মনসিংহে দুদকের অভিযান
সর্বশেষ খবর
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ