নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ বলেছেন, ‘এই পদ্মা নদীর প্রশস্ততা অনেক বেশি। প্রতিবছরে যে ভাঙন হচ্ছে এই ভাঙনের কারণে চ্যানেলগুলো সব সময় পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। নদীশাসন করা, নদীর পাড় ঠিক রাখা, নদীর চ্যানেলগুলোকে ঠিক করা একটি ব্যয়বহুল কাজ। সরকার কিন্তু সব সময় উদ্যোগ নিচ্ছে, প্রজেক্টগুলো নিচ্ছে নদী ঠিক রাখার জন্য।’
শনিবার (১১ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদী ও ৬ নম্বর ফেরিঘাটের ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সারোয়ার মাহমুদ বলেন, ‘এলাকাবাসীর নদীশাসনের আবেদনের কথা আমি প্ল্যানিং কমিশনারের কাছে বলবো, যেন দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা হয়। নদীর তীরবর্তী লোকজনের যেন দুঃখ-কষ্ট দূর হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নদী রক্ষা করতে স্থানীয় যেসব নেতৃবৃন্দ রয়েছেন তাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং অধিক সচেতন হতে হবে। অনেকসময় মানুষের কাজের জন্যও নদীভাঙন শুরু হয়। যেমন বালু-মাটি উত্তোলন এর প্রধান কারণ। আমরা চাই জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নদীর প্রবাহ, জীববৈচিত্র্য যেন ঠিক থাকে সে ব্যাপারে সবাই উদ্যোগী হবেন। স্থানীয় মানুষজনেরও এখানে করণীয় আছে। তারা যেন নদীকে রক্ষা করার ব্যাপারে উদ্যোগী হন। তাহলে নদীগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা যাবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এসআই মো. ফরিদ উদ্দিন, দৌলতদিয়া নৌযান ফেডারেশনের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।