পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনায় জমে উঠেছে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ কাপড়ের হাট। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এখানে আসছেন কাপড় কিনতে। কিনছেন পছন্দের পোশাকও। পাইকারি বাজার হওয়ায় আশপাশের জেলাগুলো থেকে লোকজন এখানে আসছেন তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে। এখানে পাওয়া যায় গজ কাপড়, পাঞ্জাবির কাপড়, থ্রিপিচ, শাড়ি, সুতির কাপড়, জাকাতের কাপড়, মশারি, কোর্ট, প্যান্ট ও শার্টের পিচ, লুঙ্গি, রেডিমেট পোশাক।
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে কাপড়ের এ বাজারে বেচাবিক্রি ততই বাড়ছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানগুলোয় বেচাবিক্রি চলে।
পোড়াদহ বাজারের ভরসা বস্ত্রালয়ের মালিক রিয়াদ শেঠ বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মানুষের ভিড় একটু বেশি। আর বেচাবিক্রিও হচ্ছে ভালো। তবে ২০ রমজানের পর আরও জমজমাট বেচাকেনা হবে।’
পোড়াদহ বাজারের সবচেয়ে বড় শাড়ি, থ্রিপিস, শার্ট পিস, পাঞ্জাবির মোকাম অঙ্গশোভায় গিয়ে দেখা যায়,দোকানে প্রচণ্ড ভিড়। কুমারখালী উপজেলা কাপড় ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, শুক্রবার মূলত পোড়াদহ বাজারে মূল হাট বসে। সেদিনই বেশি বিক্রি হয়।
কুষ্টিয়া শহরে বাসিন্দা রাকিব বলেন, ‘পোড়াদহ কাপড়ের হাটে কেনাকাটা করার মজাই আলাদা। আমি প্রতিবছর পরিবার এবং জাকাতের কাপড় পোড়াদহ মার্কেট থেকে কিনি।’
পোড়াদহ বাজারের নূর বস্ত্র বিতানের মালিক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘জাকাতের কাপড় এবং লুঙ্গি তুলনামূলকভাবে বেশি বিক্রি হয়। প্রতিদিন দেশের বৃহত্তর পোড়াদহ কাপড়ের হাটে প্রায় কয়েক কোটি টাকার থান কাপড়, থ্রিপিস, সালোয়ার, কামিজ, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, শার্ট ও প্যান্ট পিস বিক্রি হয়।’
পাইকারি কাপড় ব্যবসায়ী মফিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখান থেকে পাইকারি কাপড় কিনে নিয়ে যায়। হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো হাওয়ায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এখানে কাপড় বিনতে আসেন।’
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, পোড়াহদ হাটে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে পাইকাররা যখন সঙ্গে করে ক্যাশ নিয়ে আসেন।
প্রসঙ্গত, পোড়াদহ কাপড়ের হাটে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার প্রায় ২ হাজার ৮০০ পাইকারি দোকানে বসে।