X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরের ৬টি আসনে নৌকা পেতে চান ৭২ জন

যশোর প্রতিনিধি
১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:১৩আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:১৩

 

যশোর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসন থেকে নৌকা প্রতীক পেতে চান ৭২ জন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারা মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয় দল হওয়ায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর সে কারণেই অধিক সংখ্যক নেতাকর্মী এই দল থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাছাড়া মনোনয়ন না পেলেও ফরম কেনাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ মিলতে পারে এমন প্রত্যাশা থেকেও অনেকে ফরম কিনেছেন বলে কারও কারও ধারণা।

যশোর-১ (শার্শা) আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন সাতজন। তারা হলেন— বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মামুদ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট নবী নেওয়াজ মোহাম্মদ মুজিবুদ্দৌলা সরদার কনক, শার্শার সবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একেএম আখতারুল কবীর এবং শাহজাহান গোলদার।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৫ জন। নৌকা প্রতীকের দাবিদাররা হলেন— বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলী রায়হান, চৌগাছা উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) ডাক্তার নাসিরউদ্দিন, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা আনোয়ার পাশা, ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের স্ত্রী মমতাজ ফারুক, মোস্তফা শরীফ মোহাম্মদ, সাইদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান এমপির ছোটভাই মাজহারুল ইসলাম প্রিন্স, যুবলীগনেতা আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট এবিএম আহসানুল হক আহসান, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালি এবং অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশীদ।

যশোর-৩ (সদর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। এদের মধ্যে রয়েছেন— বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার, সাবেক সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটো, অ্যাডভোকেট রবিউল হক সুজা, এহতেশাম ফিরোজ আলম ও সাইফুউদ্দিন সাইফ।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৯ জন। এরা হলেন— বর্তমান সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়, সাবেক হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এনামুল হক বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুল ইসলাম কাজল, কৃষকলীগ নেতা আমজাদ হোসেন, সরদার ওলিয়ার রহমান, ফরিদ জাহাঙ্গীর, সোলাইমান হোসেন, আলমগীর হাসান রাজিব, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর রশিদ স্বপন, জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব ইফতেখার, বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, এসএম জাকির, আব্দুল কবির খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরজাহান ইসলাম নিরা, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লাইজু জামান, রকিবুল আনোয়ার ও নওয়াপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর রবিন অধিকারী ব্যাচা।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের মনোনয়ন চান ১৪ জন। তারা হলেন— আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট পীযুষকান্তি ভট্টাচার্য, তার ভাই বর্তমান সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সদস্য জয়দেব নন্দী, জেলা যুবলীগ সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের স্ত্রী ডা. জেসমিন আরা বেগম, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুল হাসান বারী, মুক্তিযোদ্ধা এসএম ইউনুস আকবর, মাহফুজা আক্তার পলি, নিতাইকুমার বৈরাগী এবং ব্যবসায়ী এসএম ইয়াকুব আলী।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন ১১ জন। তারা হলেন— জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন, সহসভাপতি এইচএম আমির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, ডা. তাপস কুমার দাস, শিল্পপতি শেখ আব্দুর রফিক, আব্দুল মান্নান এবং এসএম এবাদত সিদ্দিক বিপুল।

যোগাযোগ করা হলে যশোর জেলা আওয়ামী রীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘বড় দল, তাই নেতার সংখ্যাও বেশি। আমাদের নেতারা সবাই এমপি হওয়ার যোগ্য। নেত্রীর নজরে আসার জন্যেও কেউ কেউ নমিনেশন পেপার কিনছেন। মূল কথা হচ্ছে, যত লোকই কিনুক না কেন, নেত্রী যাকে নৌকা দেবেন, বাদ বাকি সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তার জন্যে কাজ করবেন।'

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসব মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। গত ৯ নভেম্বর শুক্রবার থেকে ১২ নভেম্বর সোমবার পর্যন্ত এই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা নেওয়ার কার্যক্রম চলে।


/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢাকা কর কমিশনারের কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ
ঢাকা কর কমিশনারের কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ
গরমে মরে যাচ্ছে শাকসবজি গাছ, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা চাষিদের
গরমে মরে যাচ্ছে শাকসবজি গাছ, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা চাষিদের
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল, ২০২৪)
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে