ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি ২৫ নারী-পুরুষ বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন। বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। ভালো চাকরির আশায় ভারতে গিয়ে কারাভোগ করেছেন সবাই।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেছে। তাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ১৩ নারী রয়েছেন। তারা হলেন- জুনায়েদ শেখ, আরিফুল ইসলাম, ইমন আক্তার, আব্দুল মমিন, শুভ ফরাজী, খলিল শেখ, জাকির হোসেন, আবু সৈয়দ গাজী, রবিউল শেখ, ফাইজুল ভূঁইয়া, হাসিব শেখ, জান্নাতি, আমেনা আক্তার, অর্পি খাতুন, খাদিজা খাতুন, রুকসানা, লাবনী খাতুন, ইমলি রানি, শুকলা মন্ডল, বিলকিস বেগম, শিরিনা খাতুন, লিপি আক্তার, জুবেদা বেগম, হোসনেয়ারা আক্তার ও রোজিনা আক্তার। তাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়।
ফেরত আসা জাকির হোসেন, আরিফুল ইসলাম ও ইমন আক্তার জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটনের কারণে ভালো চাকরির আশায় দালালের মাধ্যমে সীমান্তপথে ভারতের কলকাতা শহরে যান। সেখানে কাজ করার সময় সে দেশে অবৈধভাবে বসবাস করার অপরাধে পুলিশ আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। সেখান থেকে সংলাপ নামে একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে তাদেরকে নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখে। দুই বছর পর আজ দেশে ফিরলেন তারা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহম্মেদ বলেন, ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার এবং মহিলা আইন সমিতি তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবী সমিতির নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখা হয়েছে। পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
