যশোরে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবিলা বেগম (৫৫)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার গদখালী ঝিকরা গ্রামের বাসিন্দা।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. বজলুর রশিদ টুলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সাবিলা বেগম যশোরে করোনার দ্বিতীয় ধাপে প্রথম শনাক্ত হওয়া রোগী। তিনি গত ১১ জুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় এবং সেদিন থেকেই তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২০ জুন) বিকালে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
এরআগে গত বুধবার (১৮ জুন) সকাল ও দিবাগত রাতে আরও দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারা হলেন—যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার আমির হোসেন পারুল (৬৮) ও মণিরামপুর উপজেলার শেখ ইউসুফ আলী (৪৫)। তারা দুজনই যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত বলেন, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যারা বয়স্ক এবং আগে থেকেই নানা রোগে আক্রান্ত, তাদের ঝুঁকি বেশি। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য ২ হাজার কীট পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এই কীট হাসপাতালে ভর্তি ও সন্দেহভাজনদের পরীক্ষায় ব্যবহার করা হবে। পরবর্তী সময়ে আরও কীট পাওয়া গেলে তখন সবাই পরীক্ষা করাতে পারবেন।