জামালপুরের ইসলামপুরের জিগাতলা এলাকায় নিজ বাড়ির উঠানে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুর রহিম খন্দকারকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে উপজেলার জিগাতলা গ্রাম থেকে তাদের আটক করে মারধর করা হয়। তারা হলেন- ওই গ্রামের আজাহার সরকারের ছেলে মো. আবদুস সালাম (৪০) ও দেওয়াগঞ্জ উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নের চরহলকা হাওড়াবাড়ি গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে মো. চাঁন মিয়া (৩০)।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কুলিকান্দি ইউনিয়নের জিগাতলা এলাকায় হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত আবদুর রহিম খন্দকার (৫০) কুলকান্দি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং কুলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
পরিবারের লোকজনের দাবি, একদল দুর্বৃত্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে রহিমকে ঘর থেকে বের করেন। এরপর বাড়ির উঠানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, হত্যায় জড়িত সন্দেহে সোমবার দুপুরে স্থানীয়রা ওই গ্রাম থেকে সালাম ও চাঁন মিয়াকে আটক করে মারধরের পর পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আতিকুর রহমান বলেন, ‘ইউপি সদস্যকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে জিগাতলা গ্রামের লোকজন দুজনকে আটক করেছে সংবাদ পেয়ে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে থানায় আনা হয়। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকলে তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে ওই ইউপি সদস্য পরিবারের সঙ্গে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত বাড়ির উঠানে গিয়ে তাকে ডাকতে থাকে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেয়। পরে তিনি ঘর থেকে বের হন। সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
কুলকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, ‘আবদুর রহিম দুবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা কেন নির্মমভাবে হত্যা করেছে, বিষয়টি এলাকার কেউ বলতে পারছেন না। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবি জানাই।’
ওসি আ স ম আতিকুর রহমান বলেন, ‘কী কারণে হত্যাকাণ্ড এবং এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।’