পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার নাসিরমন্ডলহাট ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপারিনটেন্ডেন্ট ইউসুফ আলীর আপসারণ দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা তার কার্যালয়ে তালাও ঝুলিয়ে দেন। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বোদা-বেংহাড়ি সড়কে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহমুদ হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুপারিনটেন্ডেন্ট ইউসুফ আলীর অপসারণ দাবিতে শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বোদা-বেংহাড়ি সড়ক অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ খবর পেয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহমুদ হাসান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সলিমুল্লাহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, দাখিল পরীক্ষার আগে তাদের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে পড়ানো হলেও বিষয় কোড পরিবর্তন হয়ে পরীক্ষা দিতে হয় বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি বিষয়ে। রেজিস্ট্রেশনের সময় ব্ষিয় কোড পরিবর্তনের কথা আগেই প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। ওই সময় সুপারিটেন্ডেন্ট বিষয় কোড পরীক্ষার আগেই ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়কোড ঠিক করা হয়নি। এ কারণে দাখিল পরীক্ষায় ১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৪ জনই ফেল করেন।
এ প্রসঙ্গে পরীক্ষার্থী মনিরা আক্তার, মেশকাত ও সুমি আক্তার বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের সময় ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি’ পড়ার কথা বললে আমাদের এমন সর্বনাশ হতো না। এখন আমাদের কী হবে? আমরা এখন কী করব বুঝতে পারছি না।’
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সুপারিনটেন্ডেন্ট ইউসুফ আলী যোগদানের পর থেকে মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খল চলে আসছে। তিনি প্রতিষ্ঠানে ঠিকমতো থাকেন না। সারাদিন ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন।
এমন অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ইউসুফ আলী বলেন, ‘এ অভিযোগ সত্য নয়। বিপদে পড়েছি তাই এ অভিযোগ করা হচ্ছে।’ শিক্ষার্থীদের ফেল করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘শারীরিক শিক্ষা’র বিষয় কোড কিভাবে ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি’র হয়ে গেল, তা আমিও বুঝতে পারিনি।’
বোদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মানিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘অভিযোগ সত্য। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমি আন্দোলনকারীদের সঙ্গেই রয়েছি।’
বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। সুপারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
/এসএমএ/