X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেরপুরে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

আশরাফুল ইসলাম, মেহেরপুর
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২৩:৫৫আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২৩:৫৭

মেহেরপুর

মেহেরপুরের বেশিরভাগ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেবল জাতীয় পতাকা তুলে দিবসটি পালন করা হয়। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জেলার কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় না। এতে এ দিবস বা মহান ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা কিছু শিখতে বা জানতে পারছে না।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, মেহেরপুর সদর, গংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় মোট ১২৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৬টি মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৮টি বিদ্যালয় ও ৭টি মাদ্রাসায় শহীদ মিনার রয়েছে। এছাড়া ৩০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি এবতেদায়ি মাদ্রাসা এবং ১২৯টি কিন্ডার গার্টেন রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনোটিতেই শহীদ মিনার নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারিতে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ফলে বছরে একটা দিন উপলক্ষেও ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারের যত্ন নেওয়া হয় না।
সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মৌসুমি আকতার জানান, তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় তারা একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে সম্মান জানাতে পারেন না।
গংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলে ফুল দিয়ে শহীদদের সম্মান জানানো যেতো এবং শহীদদের ব্যাপারে আমাদের জানার সুযোগ হতো।
হিজলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম জানান, তাদের বিদ্যালয়ের আশেপাশে কোনও শহীদ মিনার নেই। শহীদ মিনার নির্মাণ করাটা জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগ ও সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
গাড়াডোব গ্রামের ইলিয়াছ হোসেন নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘স্কুলে যদি শহীদ মিনার থাকতো, তবে সন্তানেরা ভাষা আন্দোলন ও শহীদদের সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারতো।’
গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন জানান, প্রতিটি বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার থাকাটা জরুরি। এতে সবাই শহীদদের প্রতি যেমন সম্মান জানাতে পারবে, তেমনি শিক্ষার্থীরা এ দিবসের তাৎপর্য বুঝতে পারবে।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মালেক জানান, সরকারি উদ্যোগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন প্রয়োজন। অন্তত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো উচিত। একইসঙ্গে এ দিবসে আলোচনা সভার আয়োজনও জরুরি। আলোচনা সভার আয়োজনের জন্য প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার হবে।’
জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ জানান, ইতোমধ্যে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপনের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চীন সফরের পরিকল্পনা করেছেন পুতিন
চীন সফরের পরিকল্পনা করেছেন পুতিন
টসে জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
টসে জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
কম শক্তির আবাহনীর বিপক্ষেও জিততে পারেনি মোহামেডান
কম শক্তির আবাহনীর বিপক্ষেও জিততে পারেনি মোহামেডান
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ