প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রয়, বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তারপরও থেমে নেই ইলিশ কেনাবেচা। জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মা ও যমুনা নদীতে ধরছে ইলিশ। আর এই ইলিশ গুলো বিক্রি ও বহনে তারা নানান কৌশল অবলম্বন করছে। শুক্রবার অভিনব কায়দায় ইলিশ বহনের সময় শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বিপুল পরিমাণ মাছ ইলিশ জব্দ করে।
শিবালয় উপজেলা আলোকদিয়া চরাঞ্চলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার প্রশাসন অভিযান চালায়। চর-শিবালয় নৌরুটের একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে যাত্রীবেশী ক্রেতাদের কাছে থাকা স্কুল ব্যাগ, লাগেজ, কাপড় ও ছালার বস্তাসহ ১০টি পাত্রে রাখা প্রায় ২০০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ সময়েও জেলেরা পদ্মা-যমুনায় অবৈধভাবে ইলিশ ধরে বিক্রি করছে। এমন গোপন খবরে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ইলিশ জব্দ করা হয়।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহেদী হাসান জানান, যাত্রীবেশী ক্রেতারা ইলিশ কিনে অভিনব কায়দায় নিয়ে যাওয়া সময় তা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আটককৃত ৫ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিবালয় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রফিকুল আলম জানান, ইলিশ রক্ষা অভিযানকালে শুক্রবার ৪০টি ইলিশ ধরার নৌকা ধ্বংস ও দু’লাখ ঘনমিটার কারেন্টজাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।