X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ঘুষ নিয়ে অর্ধশত গ্রাহককে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগের অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
০৬ জুলাই ২০১৯, ০৯:০০আপডেট : ০৬ জুলাই ২০১৯, ০৯:০৬

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অবৈধ লাইন টানিয়ে অর্ধশতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে মিটার প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খুঁটিবিহীন এক তারে সংযোগ দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও রায়ের বাসালিয়া গ্রামে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ভূঞাপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, রায়ের বাসালিয়া এলাকায় একটি চক্র বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে খুঁটিবিহীন এক তারে অর্ধশত মিটার স্থাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। এভাবে বিদ্যুৎ পেতে কাবিল ও হায়দার নামে দু’জন গ্রাহকদের কাছ থেকে মিটার প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এদিকে ওই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় একপক্ষ অন্যপক্ষের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হায়দার আলী গ্রুপ ও ময়মনসিংহ পৌরসভায় কর্মরত কাবিল হোসেন ওরফে ছোট বাবু বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে রায়ের বাসালিয়া বাজার মোড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে এক তারের মাধ্যমে আধা কিলোমিটার এলাকায় অর্ধশত মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া এক গ্রাহক বলেন, ‘দালাল ও ঘুষ ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ অফিস ও স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছি।’
এদিকে অভিযুক্ত হায়দার আলী ও কাবিল হোসেন পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত হায়দার আলী বলেন, ‘ভূঞাপুর পিডিবির বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী প্রকৌশলী পূর্নচন্দ্র পালসহ অফিসের কয়েকজনের মাধ্যমে বিদ্যুতের পিলার স্থাপন ও তারের জন্য দেড় লাখ টাকা দিয়ে এলাকায় বিদ্যুতের লাইনটি টানানো হয়। সে সময় আমিও বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের সঙ্গে ছিলাম। পরে কাবিল হোসেন এক তারের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে মিটার স্থাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে।’
অপর অভিযুক্ত কাবিল হোসেন বলেন, ‘এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এলাকায় বিদ্যুতের লাইন টানানো হয়েছে। গ্রামের হায়দার আলী, মিন্টুসহ অনেকেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ তার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছেন।’
ভূঞাপুরের বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের (পিডিবির) সহকারী প্রকৌশলী পূর্নচন্দ্র পাল বলেন, অনেক জায়গায় এক তারের লাইন রয়েছে। এগুলো দীর্ঘদিনের লাইন। বর্তমানে সেগুলোর উন্নয়নের কাজ চলছে। টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
ভূঞাপুরের বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের (পিডিবির) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কারও কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। এক তার থেকে লাইনটি দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

 

/ওআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ক্যাসিনো কাণ্ডের ৫ বছর পর আলো দেখছে ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স
ক্যাসিনো কাণ্ডের ৫ বছর পর আলো দেখছে ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি