X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

যশোর বোর্ডেও শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান আছে

যশোর প্রতিনিধি
১৮ জুলাই ২০১৯, ১৫:৪৪আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৯, ১৬:০৯

নেংগুড়াহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইসএসসি`র ফল চলতি বছর যশোর বোর্ডে শতভাগ অকৃতকার্য কোনও প্রতিষ্ঠান নেই বলে দাবি করেছিল বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তবে দাবির বিপরীতে একটি কলেজের নাম পাওয়া গেছে। কলেজটি হলো নেংগুড়াহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় এই কলেজের অবস্থান।

যশোর বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইচ্ছাকৃতভাবেই এটি করেছেন। তবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলছেন, ওই কলেজ থেকে এবার কোনও নিয়মিত পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণাকালে বলেন, চলতি বছর যশোর বোর্ডের অধীনে ৫৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষায় অংশ নেয়। সেখানে শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেখানো হয় ১৮টি, যা গতবার ছিল ৩৮। গত বছর শতভাগ ফেল এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল দুটি। তিনি বলেন, এ বছর শতভাগ ফেল করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা শূন্য। কিন্তু মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে রেজাল্ট শিট দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট−নেংগুড়াহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজে একজন শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তিনি পাস করেননি।

যোগাযোগ করা হলে নেংগুড়াহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপ্যাল শামসুল হক বলেন, ‘২০১৭ সালে এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে এক জন। পরের বছর ১০ জন অংশ নেয় এবং পাস করে ছয় জন। কিন্তু এবার একজন শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং আইসিটি সাবজেক্টে ফেল করে।’ যেহেতু একজন শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং সে ফেল করেছে, সে হিসেবে শতভাগ ফেল বলা চলে বলে তিনি জানান।

এদিকে, এই শিক্ষা বোর্ড থেকে শতভাগ পাস করেছে এমন ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যশোরের হোম ইকোনমিকস কলেজ ও কুষ্টিয়ার হাজি নূরুল ইসলাম কলেজের নাম রয়েছে। যেখানে একজন করে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন এবং তারা পাস করেছেন। এছাড়া তিন জনের মধ্যে তিন জন এবং চার জনের মধ্যে চার জন পাস করেছেন, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা রয়েছে তিনটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘২০১৯ সালে নেংগুড়াহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে নিয়মিত কোনও শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। যে পরীক্ষা দিয়েছিল সে ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থী (ক্যাজুয়াল)। ওই শিক্ষার্থীর রেজাল্ট উইথহেল্ড ছিল, পরে দেখা গেছে ফেল। সে হিসেবে ফেল বলা যায়।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছর যশোরে বোর্ডে পাসের হার ৭৫.৬৫ শতাংশ। 

/এফএস/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সংরক্ষিত আসনের ১৬ শতাংশ এমপির পেশা রাজনীতি
সংরক্ষিত আসনের ১৬ শতাংশ এমপির পেশা রাজনীতি
ঢাবির সব ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবির সব ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বাংলাদেশের আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
বাংলাদেশের আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
শিশু অপহরণ করে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করতো চক্রটি
শিশু অপহরণ করে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করতো চক্রটি
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে