আদা ও রসুনের পর এবার মরিচের বাজারে আগুন লেগেছে। জেলার বাজারগুলোতে কেজি প্রতি মরিচ দুইশ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এই মরিচের কেজি ছিল ১৬০ টাকা।
ফরিদপুর শহরের চকবাজার সংলগ্ন দোকানের মরিচ বিক্রেতা শহিদুল মল্লিক জানান, তিনি আজ আড়ত (পাইকারি দোকান) থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে মরিচ কিনেছেন। তাই অধিক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
জেলার সালথা উপজেলার অপর মরিচ বিক্রেতা হান্নান মোল্লা জানান, তিনি ১৭০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৮০ টাকা করে বিক্রি করছেন।
জেলার সর্ববৃহৎ মরিচ উৎপাদনের এলাকা মধুখালী উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রীষ্মকালে মৌসুমের প্রথম দিকে উৎপাদন ভালো হলেও পরে দীর্ঘ খড়ায় উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তাই খরচ পোষাতে কৃষক উচ্চ মূল্যে মরিচ বিক্রি করছে।
একই উপজেলার মেছড়দিয়া গ্রামর কৃষক কামরুজ্জামার জানান, আগে পাখি (৩০ শতাংশ) প্রতি প্রায় ৮ মণ করে মরিচ তুলেছেন প্রতি সপ্তাহে কিন্তু এখন সপ্তাহে এক মন মরিচও পাচ্ছেন না। এজন্য খড়াকেই দায়ী করছেন তিনি।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় প্রায় ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে, যার শতকরা ৮০ ভাগের আবাদ হয়েছে মধুখালী উপজেলায়। এখান থেকে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন। জেলা ও এর আশেপাশের এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এই মরিচের সিংহ ভাগই বছর জুড়ে সরবরাহ হয় রাজধানীতে।
অধিদফতরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, খড়ার কারণে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হলেও, দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে মরিচ গাছে নতুন ফুল এসে আবার সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।