X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুর থেকে হেঁটে এসে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করলেন রিকশাচালক রফিকুল

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
২০ জুলাই ২০১৯, ১০:৩৩আপডেট : ২০ জুলাই ২০১৯, ১০:৪৪

বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করলেন রফিকুল ইসলাম ৯টি জেলা হেঁটে পার হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের স্বপ্ন পূরণ করলেন রংপুরের রফিকুল ইসলাম। শুক্রবার বিকালে তিনি জাতির জনকের কবর জিয়ারত এবং তার পরিবারের নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লেখেন ও স্বাক্ষর করেন। 

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রংপুর থেকে পায়ে হেঁটে টুঙ্গিপাড়ায় এসে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকবো ও কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণ করবো। এরপর আমি গণভবনে বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে আমার এ পদযাত্রা শেষ করবো।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বৃষ্টি আর রোদ উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে রংপুর থেকে গোপালগঞ্জে আসেন রফিকুল ইসলাম। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও স্বাধীনতা অর্জনের কথা স্মরণ করে পদযাত্রার পাশাপাশি জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকেছেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম পেশায় রিকশাচালক। রংপুর শহরের তাজহাট বাবুপাড়া এলাকায় স্ত্রী রশিদা বেগম, দুই মেয়ে ও তিন ছেলেসহ বাবাকে নিয়ে এক বাড়িতেই তার বসবাস। পরিবার পরিচালনার ভার ছেলেদের হাতে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা নিয়েই স্বপ্ন পূরণে ঘর থেকে বের হন ৫৯ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার পর থেকেই তিনি তার ভক্ত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকতে থাকেন তিনি। অবশেষে তিনি পায়ে হেঁটে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য রংপুর জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র নিয়ে গত ১৩ জুন পদযাত্রা শুরু করেন। তিনি এপর্যন্ত ১১ জেলার ২৬টি স্থানে জাতির জনকের ছবি এঁকেছেন। গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকেছেন ডিসি অফিস ভবনের দ্বিতীয় তলায়।

বঙ্গবন্ধু প্রেমী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মা-বাবার একমাত্র সন্তান হওয়ায় স্বাধীনতা যুদ্ধে যেতে পারিনি। যার আক্ষেপ আমাকে সবসময় তাড়া করে। আমি রিকশা চালানোর পাশাপাশি প্রেস শ্রমিক হিসেবে কাজ করতাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের দেয়ালে দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কন করে আসছি। আমি পায়ে হেঁটে আগামী ৪ আগস্ট গণভবনে বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে ও কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণ করে আমার এ পদযাত্রা শেষ করবো।’

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ১
প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেফতার ১
ইরান হামলা বন্ধ করলেও ছায়াশক্তিরা সক্রিয়
ইরান হামলা বন্ধ করলেও ছায়াশক্তিরা সক্রিয়
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!