নরসিংদীর মাধবদীতে এক কিশোরীকে (১৩) অপহরণের পর নয়দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে অপহরণকারী দলের মূলহোতাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৫ অক্টোবর শনিবার ওই কিশোরীকে মাধবদী থানার দরগাবাড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দেবাই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে সুজন (২৭) ও তার সহযোগী একই থানার সাতগ্রাম গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৬), ময়মনসিংহ সদর থানার রহমতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. ফয়সাল মিয়া (২০), লালমনিরহাট সদরের চরকুলাঘাপ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আছাদুল ইসলাম (২৪) ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের নিশাত মোল্লার ছেলে শাকিল মোল্লা (২৩)।
মাধবদী থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান ও নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পরিবার জানান, ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে মাধবদীর দরগাবাড়ি এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে অপহরণ করে অজ্ঞাত অপহরণকারী চক্র। চারদিন পর ৯ অক্টোবর মেয়েটির বাবার মোবাইলে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অন্যথায় মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ১২ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাধবদী থানায় মামলা করেন তার বাবা। মামলার পর ওই মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং শুরু করে পুলিশ। পরে রুবেল নামে ওই চক্রের এক সদস্য মুক্তিপণের টাকা নিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুরে এসে পুলিশের হাতে আটক হয়।
পরে রুবেলের তথ্যমতে সাভারের গোমাইল উত্তরপাড়ার একটি বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণে সহায়তাকারী ফয়সাল, শাকিল ও আছাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হলেও অপহরণকারী দলের মূলহোতা সুজন পালিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া থেকে সুজনকেও গ্রেফতার করা হয়।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, ‘কিশোরীকে টেস্টের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) আদালতে পাঠানো হবে তাদের।’
