বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চরএককরিয়া সংলগ্ন লালখারাবাদ নদী থেকে ১০ জেলেকে আটকের পর ৬৫ হাজার টাকা ঘুষে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে মেহেন্দীগঞ্জ থানার এএসআই দেলোয়ার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে মো. সুমন সিকদার নামে এক কনস্টেবলকেও। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরখাস্তের পর তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হবে। বরিশালের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
শনিবার সকালে বাংলা ট্রিবিউন অনলাইনে ‘৬৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ১০ জেলেকে ছেড়ে দিলেন এএসআই!’ এই শিরোনামে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরপরই মেহেন্দীগঞ্জ থানা ও স্থানীয় পর্যায়ে খবর নেন জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেখান থেকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে লালখারাবাদ নদীতে ইলিশ শিকারে যান জেলেরা। ভোর ৫টার দিকে এএসআই দেলোয়ার হোসেন ও কনেস্টবল সুমন সিকদার সেখানে পৌঁছে ইলিশ শিকারের অভিযোগে ১০ জেলেকে আটক করেন। তবে তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে প্রত্যেকের কাছে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন তিনি। পরে ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গরিব জেলে ও তাদের স্বজনরা উপজেলার কোলতাতলী বাজারে বিক্ষোভ করেন।