র্যাবের পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও মারধর করার অপরাধে দু’জন ভুয়া র্যাব সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-৬ এর সদস্যরা বাগেরহাট সদরের দশআনি মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতার দুজন হলো— মোড়েলগঞ্জের বহরবুনিয়া গ্রামের মৃত আজিজ হাওলাদারের ছেলে মো. বেল্লাল হাওলাদার (৪৯) ও মৃত মো. শিশু মোল্লার ছেলে মো. গোলাম মোস্তফা (৪৯)।
র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এএসপি তোফাজ্জল হোসেন শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ১৬ অক্টোবর মোড়েলগঞ্জের বহরবুনিয়া গ্রামের আবুল হাসান হাওলাদারের ছেলে সামসুল হক হাওলাদার (৩৬) র্যাব-৬ এ একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়— বেল্লাল হাওলাদার ও গোলাম মোস্তফা গত ১১ অক্টোবর বিকাল পাঁচটার দিকে মোড়েলগঞ্জে তার বাসায় গিয়ে নিজেদের র্যাব-৬ এর অফিসার হিসেবে পরিচয় দেয় এবং র্যাব অফিসে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তার (সামসুল ) বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তারা দুজন তাড়াতাড়ি টাকা বের করতে বলে। না হলে তাকে র্যাব অফিসে তুলে নিয়ে যাবে বলে ভয় দেখায়। এ সময় তিনি ঘর থেকে পাঁচ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেন। ওই দুই ব্যক্তি পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৮ অক্টোবর বাকি টাকা নিয়ে বাগেরহাট জেলা সদরের দশানি ট্রাফিক মোড়ে রাত ৮টায় উপস্থিত থাকার জন্য শাসিয়ে যায়।
এ অভিযোগ পওয়ার পর র্যাবের এএসপি তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে ১৮ অক্টোবর সামসুল হক হাওলাদারকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা হতে বাগেরহাটের দশানি ট্রাফিক মোড়ের আশেপাশে অবস্থান নেন। রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ভুয়া র্যাব পরিচয়দানকারীরা সামসুল হককে ফোন দিয়ে ট্রাফিক মোড়ে আসতে বলে। তখন সামসুল হক দশানি ট্রাফিক মোড়ের দক্ষিণ পাশে গিয়ে হাজির হয়। এ অবস্থায় ভুয়া র্যাব পরিচয়দানকারী ওই দুজন সামসুল হকের কাছে এগিয়ে এসে চাঁদার টাকা চাইলে তিনি পাঁচ হাজার টাকা বের করে দেন। তখন চাঁদাবাজরা সন্তুষ্ট না হয়ে সামসুল হককে মারধর করতে থাকে। এসময় আগে থেকে অবস্থান নেওয়া র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল হতে ভুয়া র্যাব সদস্য বেল্লাল হাওলাদার ও গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করে।