জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোকে নারীর প্রতি অবমাননা হিসেবে দেখছেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে পুরো নারী সমাজকে অপমান করা হয়েছে এবং নারী বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। এর আগে রবিবার (২০ অক্টোবর) এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বারতা চক্রবর্তী বলেন, ‘উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে পদচ্যুত করার জন্য কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী এমন কিছু কর্মসূচি অবলম্বন করেছেন, যা নারীর জন্য অবমাননাকর। কর্মসূচির নামে বল প্রয়োগ ও নারীকে অসম্মান করা মেনে নেওয়া যায় না। একজন নারীর ছবি সংযুক্ত করে শাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটান নজিরবিহীন।’ এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের আগে মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘শাড়িতে আগুন লাগানো সব নারীর জন্য বেদনাদায়ক। এর মধ্য দিয়ে পুরো নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে।’
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোলনারা আকতার বলেন, ‘নারীর অবয়বে শাড়ি পেঁচিয়ে জনসম্মুখে পুড়িয়ে উল্লাস করা কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি নারী সমাজের জন্য পীড়াদায়ক।’
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার অধিকতর প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।
এদিকে, আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও উন্নয়নের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন করছেন উপাচার্যের অনুসারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ।