X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

জরাজীর্ণ স্কুল ভবনেই চলছে দোতলা নির্মাণ!

মাসুদ আলম, কুমিল্লা
১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৬আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৭

জরাজীর্ণ স্কুল ভবনেই চলছে দোতলা নির্মাণ! কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভাতেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের পিলারসহ বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে পড়েছে রড। জরাজীর্ণ এই ভবনটির সংস্কার না করে উল্টো এর ওপর দোতলা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ভবনটি যেকোনও সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় পুরাতন এই স্কুল ভবনটির সংস্কার ও অন্য ভূমিতে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা যায়, ভাতেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনটি ১৯৯৫ সালে নির্মিত। সেসময় অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ভবনটি সঠিকভাবে নির্মিত হয়নি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে।

স্থানীয় বাসিন্দা সুমন, বিজয়, ফারুক, বাসার মোল্লাসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বরুড়ার ভাতেশ্বর গ্রামের একমাত্র বিদ্যাপিঠ ভাতেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের নিচতলা জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ। স্কুল ভবনের প্রতিটি পিলারে ফাটল। সেই ভবনের ওপরে দোতল করার প্রস্ততি চলছে। যার কাজ প্রায় মাঝ পথে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দোতলা নির্মাণে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বর্তমানে পুরাতন ভবনটির যে হাল, দোতলা ভবন নির্মাণে যেকোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জরাজীর্ণ স্কুল ভবনেই চলছে দোতলা নির্মাণ! ভাতেশ্বর সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সোবহান বলেন, ‘স্কুলের একমাত্র ভবন নির্মাণের ২২/২৩ বছর পরই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। গ্রামের একটি টিনের ঘরও ৩৫/৪০ বছর ব্যবহার করা যায়। পুরাতন সেই ভবনটি সংস্কার না করে কর্তৃপক্ষ দোতলা নির্মাণ করছে, যা ঝুঁকিপূর্ণ।’

ভাতেশ্বর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন বলেন, ‘আমি এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েছি মাত্র দেড় মাস হয়েছে। শুনেছি পুরাতন এই ভবনের ওপর ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে দোতলা নির্মাণ করা হচ্ছে। তারমধ্যে নিচতলায় একটি ও দোতলায় ৪টি মোট ৫টি রুম নির্মাণ হবে বলে জানা গেছে।’

স্কুলের সভাপতি মো. তফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘সভাপতি হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে স্কুলের ভালো-মন্দ এবং সমস্যা দেখার। স্কুল ভবনের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। ১৯৯৫ সালে ৬ তলার ফাউন্ডেশন নিয়ে একতলা নির্মাণ হয়। ওই ভবনের ওপর এখন দোতলা নির্মাণের কাজ করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর। ভবনের নিচতলা পুরাতন হওয়ায় একটু আস্তর খসে পড়েছে। তবে জরাজীর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ কিছুই নয়। প্রকৌশলীদের থেকে এলাকাবাসী বেশি বুঝে না।’

কুমিল্লা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী ইমাম বলেন, ‘১৯৯৫ সালে ৬ তলা ফাউন্ডেশন নিয়ে স্কুল ভবন নির্মাণ হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই ওই ভবনের ওপর দোতলা নির্মাণ হচ্ছে। জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এলাকার কিছু মানুষ এই ভবন নির্মাণে বাধা দিচ্ছে।’

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব করা ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা: স্পিকার
এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব করা ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা: স্পিকার
বিএসএমএমইউ’র দায়িত্ব নিয়ে যা বললেন নতুন ভিসি
বিএসএমএমইউ’র দায়িত্ব নিয়ে যা বললেন নতুন ভিসি
বাজেটে শিক্ষা খাতে ১৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি
বাজেটে শিক্ষা খাতে ১৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে