কুমিল্লায় ব্যাংকগুলোয় টাকা চুরির ঘটনা বাড়ছে। গত আট মাসে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কৃষি ব্যাংকের মিয়ার বাজার শাখা, নগরীর কান্দিপাড়ে পূবালী ব্যাংকের এটিএম বুথ এবং দেবিদ্বারের কৃষি ব্যাংকের শাখায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে মামলা হলেও টাকা কিংবা আসামি কারোই হদিস মেলেনি।
২৬ নভেম্বর চৌদ্দগ্রামের কৃষি ব্যাংক মিয়াবাজার শাখার জানালার গ্রিল কেটে আলমিরার তালা ভেঙে ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা চুরি হয়। পরদিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সাকিব সালেহীন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকে সিসি ক্যামেরা ছিল না। সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা পুলিশ সুপারের দেওয়া কাগজ সংযুক্ত করেও সিসি ক্যামেরার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবর লিখেছি। তারপরও সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা নেয়নি।’
এর আগে ১৬ নভেম্বর রাতে পূবালী ব্যাংকের কান্দিরপাড় শাখার এটিএম বুথের মেশিন থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে বুথের মেশিন খুলে এক ব্যক্তি টাকা চুরি করছে। চুরির ঘটনার চারদিন পর কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাখার ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম। মামলাটি ডিবিতে রয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও আসমিকে গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ।
শাখার ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করার পর বর্তমানে মামলাটি জেলা ডিবিতে রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলেও কোনও আসামি ধরতে পারিনি।
এছাড়া চলতি বছরের ২৯ মে রাতে দেবিদ্বারে কৃষি ব্যাংকের জানালার গ্রিল কেটে ব্যাংকে ঢুকে ভল্ট ভেঙে প্রায় ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সাত মাস পার হলেও কাউকে আটক বা চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার হয়নি।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক শেখ মাহবুব হোসেন জানান, চুরির ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে। তবে এখনও কোনও আসামি গ্রেফতার বা চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করতে পারেনি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘ব্যাংকে চুরির ঘটনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত সফলতা পাবো।’ এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে মিয়ার বাজারের শাখায় সিসি ক্যামেরাও ছিল না।