X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হামলা, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:২১আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৩৯

সভাস্থল ভাঙচুর করা হয়েছে


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলাসহ সভার চেয়ার, টেবিল ও স্টেজ ভাঙচুর করে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বার) সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংবর্ধনা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শফিকুল আলম। সভার সভাপতি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াব আসলাম হাবীব। সকাল ১১টার দিকে অনুষ্ঠান শুরুর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল পৌনে ৯টার দিকে মুখে কাপড় বাঁধা ৮-১০ জন যুবক সভাস্থলে হামলা চালিয়ে চেয়ার, টেবিল ও স্টেজ ভাঙচুর করে। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ জয় বাংলা লেখা সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।
এ ঘটনার পর সংবর্ধনা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মিছিল করেন ।

মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হামলা করে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিড়ে ফেলেছে

এ সময় নাসিরনগর থেকে সংবর্ধনা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধা যুগেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাদের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য জেলা পরিষদ থেকে নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। তাই আমরা দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসেছি। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনায় হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। তারা অপশক্তি। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’ এছাড়াও তাদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানাচ্ছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান আসলাম হাবিব বলেন, ‘এটা সন্ত্রাসী হামলা। তারা জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছে। তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শফিকুল আলম এমএসসি এ ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষকে দায়ী করে বলেন, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। এটি জেলা পরিষদ আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠান। এ ঘটনায় জেলা পরিষদ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

/জেবি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
এনার্জি মাস্টার প্ল্যান সংশোধনের দাবিব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে
তিন লাল কার্ডের ম্যাচ নিয়ে কে কী বললেন!
তিন লাল কার্ডের ম্যাচ নিয়ে কে কী বললেন!
প্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
লোকসভা নির্বাচনপ্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান