ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়া এলাকার হারুন অর রশিদের মালিকানাধীন আকাশ ব্রিকস ফিল্ডে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। সরেজমিন ইটভাঁটার পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য কাঠের টুকরো।
শ্রমিক সর্দার মানিক মিয়া জানান, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মে মাস পর্যন্ত চলবে। শুরু থেকেই কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। দাপুনিয়া বাজারের আশাপাশে বেশকিছু সমিল গড়ে উঠেছে। এসব মিল থেকেই পরিত্যক্ত কাঠ কিনে এনে ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মৌসুমের ৬ মাসে ইট পোড়নোর কাজে প্রায় এক হাজার টনেরও বেশি কাঠ ব্যবহার করা হয়।
শ্রমিক লাল মিয়া জানান, শুধু কয়লা দিয়ে আগুন ভালোভাবে জ্বলে না, তাই ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার করা হয়। কাঠ দিয়ে ইট পোড়ালে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে।
মেসার্স আকাশ ব্রিকসের মালিক হারুন অর রশিদ জানান, কয়লার সঙ্গে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াতে হয়। কাঠ ব্যবহার না করলে আগুন ভালোভাবে জ্বলে না। প্রশাসনের কেউ এসে কখনও খোঁজ নেয় না বলেই কাঠ পোড়ানো সম্ভব হচ্ছে। তবে প্রশাসন থেকে এসে না করলে তারা ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার করবেন না।
কাঠ ব্যবহার করে ইট পোড়ানার কোনও সুযোগ নেই দাবি করে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ফরিদ আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আকাশ ব্রিকসের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলায় ২৯৮টি ইটভাঁটার মধ্যে পরিবেশ অধিদফতর থেকে ছাড়পত্র নেওয়া ইটভাটার সংখ্যা ১৬৯টি। ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৮০টি ইটভাঁটার মধ্যে ছাড়পত্র নেওয়া ইটভাঁটা রয়েছে ২৬৫টি।