এক বছর আগে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও নিহত পলাশ আহমেদ ছাড়া আর কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি এই বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনা ঘটে। ওইদিন বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার জন্য আকাশে উড়লে পিস্তলধারী এক যুবক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের পর কমান্ডো অভিযানে ‘পিস্তলধারী’ ওই যুবক নিহত হন।
পিস্তলধারী ওই যুবকের নাম পলাশ আহমেদ, তিনি চিত্রনায়িকা শিমলার সাবেক স্বামী। তদন্তে উঠে এসেছে পলাশের হাতে থাকা ওই পিস্তলটি খেলনা পিস্তল ছিল।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজেশ বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য ৩০৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে জমা দিয়েছি। প্রতিবেদন তৈরিতে পাইলট, কেবিন ক্রু, বিমানযাত্রী, আসামি পলাশের স্বজন, বন্ধু, অভিযান পরিচালনাকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ৭৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তে এই ঘটনার সঙ্গে পলাশ ছাড়া অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। যেহেতু আসামি প্যারা কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছে, তাই মামলা নিষ্পত্তির জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনের সঙ্গে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশসহ পলাশের গতিবিধির সিসি ক্যামেরা ফুটেজ, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে পাইলটের কথোপকথনের অডিও এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা বুলেটের খোসাও জমা দেওয়া হয়।