X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় ক্যাপসিকাম চাষে চরাঞ্চলবাসীর ভাগ্য বদল

আহাদ চৌধুরী তুহিন, ভোলা
২৮ জানুয়ারি ২০২০, ১০:০৯আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ১০:১৪

ভোলায় ক্যাপসিকাম চাষে চরাঞ্চলবাসীর ভাগ্য বদল ভোলার চরাঞ্চলগুলোতে মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিন দিন বাড়ছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের আবাদ। কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি লাভজনক হওয়ায় ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এই বছর চাষ হয়েছে দ্বিগুণ। এ সবজি চাষ করে ভাগ্য বদলেছে অনেক চাষির। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে এ চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন ক্যাপসিকামচাষিরা। অন্যদিকে মাঠ পর্যায়ে সঠিক পরামর্শ ও তদারকির ফলে চাষিরা সফল হচ্ছে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।

কৃষকরা জানান, ভোলা সদরের মাঝের চরে প্রায় ৬ থেকে ৭ বছর আগে কাচিয়া ইউনিয়নের মনির পাঠান নামে এক ব্যক্তি ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন। তাতে সফলতাও পেয়েছেন তিনি। পরের বছরই তিনি বড় পরিসরে চাষ শুরু করেন। তখনও বেশ লাভবান হন। তার দেখাদেখি অন্য চাষিরাও আগ্রহী হন। ভোলার মাঝের চরে বর্তমানে ১৫০ থেকে ২০০ জন চাষি ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্যাপক ফলন হয়েছে। আর পাইকারি বাজারেও ভালো দাম পাচ্ছেন বলে তারা জানিয়েছেন।

ভোলা সদরের কাচিয়া মাঝের চরের ক্যাপসিকাম চাষি হাসেম কেরানী জানান, এ বিদেশি সবজি চাষ করে অনেক লাভ হয় শুনে তিনি এ বছর তিন একর জমিতে চাষ করেছেন। শ্রমিকের মজুরি, বীজ, সার, ওষুধ ও জমির বর্গাসহ সব মিলিয়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি এর মধ্যে ৭ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেছেন। আরও ৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

চাষি মো. আবদুর রহমান জানান, তিনি প্রায় ২ একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন। ক্ষেতে যে ফসল আছে তাতে আরও ৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।

চাষি মো. সিদ্দিক জানান, আগে ভোলার এ চরে ২৫ থেকে ৩০ জন এর চাষ করতেন। এখন ১৫০ থেকে ২০০ জন রয়েছেন। দিন দিন চাষির সংখ্যা বাড়ছে। কারণ এটি লাভজনক একটি ফসল।

হাসেম ব্যাপারী জানান, পাইকারি বাজারে এর চাহিদা অনেক। প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এটি রফতানি হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এ বছর জেলায় ক্যাপসিকাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হেক্টর। আবাদ হয়েছে প্রায় ৪০ হেক্টর। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও দৌলতখান উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘এ বছর ক্ষেতে কোনও ধরনের পোকার আক্রমণ নেই। তাই চাষিরা আগের চেয়ে অনেক লাভবান হবেন। ক্যাপসিকাম চাষ করে অনেকেই তাদের ভাগ্য বদল করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মৌসুমে জেলায় ক্যাপসিকাম চাষ একশ’ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে।

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রাণ জুড়াবে কাঁচা আমের শরবত
প্রাণ জুড়াবে কাঁচা আমের শরবত
কামালের ২৯ বছরের রেকর্ড ভাঙতে পারলেন না সবুজ!
কামালের ২৯ বছরের রেকর্ড ভাঙতে পারলেন না সবুজ!
সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
ইউক্রেনে রুশ বিমান হামলায় দুই শিশুসহ নিহত ৮
ইউক্রেনে রুশ বিমান হামলায় দুই শিশুসহ নিহত ৮
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!