দিনাজপুরে ওয়াকিল উদ্দীন মন্ডল হত্যা মামলায় তিন জনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ মো. আনোয়ারুল হক ৯ বছর আগের এই মামলার রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার খয়েরবাড়ী (মির্জাপুর) গ্রামের মো. মোসলেম উদ্দিন (৪৫), একই এলাকার মো. জাফর উদ্দিনের দুই ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে বুলবুল ও মো. মামুনুর রশিদ ওরফে মিলন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো একই এলাকার সোহেল রানা ওরফে বাবু (২৫)। বেকসুর খালাস পেয়েছেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. মেহেরুন (২০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর উপজেলার মির্জাপুর খয়েরবাড়ী মৌজার ১ দশমিক ৩৩ শতকের একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকিলের ভগ্নিপতি মনজের আলীর সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন ২০১১ সালের ২৫ জুন সকাল সাড়ে ৭টায় আসামিরা ওই পুকুরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে। এ সময় ওয়াকিল তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আসামিরা রামদা, কুড়াল, হাঁসুয়া ও ছোড়া দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই ওয়াকিল উদ্দীন মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছা. বিলকিছ বানু পরদিন ২৬ জুন বিরামপুর থানায় আট জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার বিরামপুর থানার মামলা নং- ২০, জিআর নং- ১২৯/১১। পরবর্তীতে বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি তদন্ত করে আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন মামলার ৫নং আসামি ময়েজ উদ্দীন মারা গেলে বিচারক তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. আজিজুর রহমান ও আসামিপক্ষে অ্যাড. মাজহারুল ইসলাম সরকার।