লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বটতলী এলাকায় সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে প্রাডো জিপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মীর হোসেন নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ জনে। হতাহতরা সবাই সিএনজি অটোরিকশার আরোহী বলে জানা গেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুরগামী সিএনজির সঙ্গে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকাগামী প্রাডোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চার জন প্রাণ হারান। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুই জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মীর হোসেন নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
মীর হোসেনের বাবার নাম মিলন। তাদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার খিল পাড়া গ্রামে। তার মা রুবি আক্তারকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারানো চার জনের মধ্য তিন জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন রুনু আক্তার (৪৫) ও তার ছেলে মিরাজ (৭)। রুনু আক্তারের স্বামীর নাম মিজানুর হমান। তাদের বাড়ি নোয়াখালী উপজেলার চাটখিলের ঘুমতলী গ্রামে। অপরজন সিএনজি চালক সুমন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের উত্তর মজুপুর এলাকায়। তার বাবার নাম কালু মিয়া।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ছয় জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে চার জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মুমূর্ষু দুই জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়।