বরগুনার তালতলীতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩৫৬ জন চীনা নাগরিক কাজ করছেন। সম্প্রতি চীনে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় সেখানে চীনা নাগরিকদের সঙ্গে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বরগুনায় যেসব চীনা নাগরিক কাজ করছেন, তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেশি শ্রমিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, তালতলীর খোট্টারচর এলাকায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে চীনা প্রতিষ্ঠান আইএসও টেক ইলেকট্রিফিকেশন লিমিটেড ও বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে এক হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ করছেন। এর মধ্যে চিনা শ্রমিক রয়েছেন ৩৫৬ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে কর্মরত কয়েকজন বাংলাদেশি শ্রমিক বলেন, এখানে নামমাত্র স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোনও চিকিৎসক। স্বাস্থ্য সহকারীদের দিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আতঙ্ক কাজ করছে। দ্রুত চীনা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দাবি জানাচ্ছি।
বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এর সহকারী ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, ‘এখানে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। যেন করোনা ভাইরাসের কোনও প্রভাব এখানকার শ্রমিকদের ওপর না পড়ে। সেইসঙ্গে চীনা নাগরিকরা যেন সে দেশে না যান এবং চীন থেকে নতুন কোনও নাগরিক না আসেন; এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমরা শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি।’
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহিন খান বলেন, ‘বরগুনায় কর্মরত চীনা নাগরিকদের নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। করোনা ভাইরাস সংক্রামক শুরু হওয়ার পর বরগুনা থেকে কোনও নাগরিক চিনে যাননি এবং সেখান থেকে আসেননি। এছাড়া যেসব চীনা নাগরিক এ অঞ্চলে কর্মরত আছেন, তারা নিজেরাও সতর্ক রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বরগুনা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ইতোমধ্যেই চীনা নাগরিকদের নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে আছি।’