X
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে পর্যটন স্পটে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ মার্চ ২০২০, ০৪:০২আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২০, ২৩:০৯

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত (ফাইল ছবি) করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না ঘটে, সেজন্য দেশের সব পর্যটন স্পটে মানুষের গমন নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু, ঘরে না থেকে এ সুযোগে অনেক পরিবারই দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাচ্ছে। ফলে পর্যটন স্পটগুলোতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও কুমিল্লার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে দর্শনার্থীদের আগমণে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

পর্যটন শহর কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজারে সব ধরনের জনসমাগম ও পর্যটক আগমনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটক আসছে এবং সৈকতে নামছে। সরকার ছুটি দিয়েছে যাতে এই রোগটি ছড়িয়ে না পড়ে। সেখানে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটা বিপজ্জনক হবে। এ কারণে আমাদের পক্ষ থেকে তাদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘সৈকতে পর্যটক ভ্রমণে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা এখনও পাওয়া যায়নি। তবে কিছুটা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের সব হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজে সভা-সমাবেশ, যেসব প্রোগ্রামে জনসমাগম হয় এ ধরনের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সৈকতসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।’ তিনি জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ নিয়ম বলবৎ থাকবে।

বুধবার (১৮ মার্চ) বিকালে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফখরুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সৈকতে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। করোনার ঝুঁকি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।

পতেঙ্গা সৈকত

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। বুধবার (১৮ মার্চ) বিকালে সিএমপির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জনসমাগমের কারণে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আমরা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছি। এখন থেকে সৈকত এলাকায় আর কোনও দর্শনার্থীকে যেতে দেওয়া হবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।’

এর আগে গতকাল ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কল-কারখানা বন্ধ থাকায় এদিন বিকালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে মানুষের ঢল নামে। ছুটির দিন উপভোগ করতে বিকালে পরিবার নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যান অনেক নগরবাসী। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের এই জনসমাগমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এটি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপরই বুধবার বিকালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে জনসমাগম নিষিদ্ধ করলো পুলিশ।

কুমিল্লার সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ

জনসমাগম এড়াতে কুমিল্লার নগর উদ্যান এবং শিশু পার্কসহ সরকারি-বেসরকারি সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান শালবন বিহার ও কোটবাড়ী জাদুঘরসহ জেলার সব দর্শনীয় স্থানগুলোতে প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লার কোটবাড়ী ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারের কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান জানান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলার সব প্রত্নতাত্ত্বিক দর্শনীয় স্থানগুলো মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা কোটাবাড়ীর শালবন বিহার, কোটবাড়ী জাদুঘর, রূপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া।

এদিকে নগর উদ্যান ও শিশুপার্কসহ বেশ কয়েকটি বিনোদনকেন্দ্রও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনসমাগম এড়াতে কুমিল্লা নগরীর ঈদগাহ মাঠের ফটকেও তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস যাতে না ছড়ায় সেজন্য জনসমাগম হয়, এমন জায়গাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রকোপ কমলে এসব স্থান পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।’

এছাড়া কুমিল্লার আউটার স্টেডিয়ামে চলমান বাণিজ্য মেলাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খেলার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে তরুণদের সমাগমের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব স্থান বন্ধ থাকবে বলে জানান কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম হয় কুমিল্লার এমন দর্শনীয় স্থান, নগর উদ্যান, শিশু পার্কসহ সব সরকারি-বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা আউটার স্টেডিয়ামে চলমান বাণিজ্য মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহে তরুণদের খেলার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম কমানোর জন্য স্থানগুলো সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও, ভাইরাসের প্রকোপ কমলে আবারও খুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

রাঙামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বুধবার (১৮ মার্চ) রাত ৯টায় এ তথ্য জানিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘রাঙামাটির সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নির্দেশনা যদি কেউ অমান্য করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।’

রাঙামাটি জেলা আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, বুধবার যারা রাঙামাটি এসেছেন, তাদের বৃহস্পতিবার সকালে রুম ছেড়ে দিতে বলা হবে। বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে কাউকে রুম ভাড়া দেওয়া হবে না। আমরা ইতোমধ্যে সব হোটেল মালিকদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।’

এদিকে, বুধবার রাতে রাঙামাটি শহরে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জনসাধারণকে সচেতন থাকতে মাইকিং করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ সময় অপ্রয়োজনে কাউকে ঘর থেকে বের না হতে অনুরোধ জানানো হয়।

খাগড়াছড়ির সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ের প্রস্তুতি হিসেবে খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে এ ঘোষণা জারি করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পর্যটক ও স্থানীয়দের কথা বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

সিলেটে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ

সিলেটে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সতর্কতা হিসেবে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  বুধবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, পরিস্থিতি যতদিন ভালো হচ্ছে না সেজন্য সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে জনসমাগম ও পর্যটক আগমনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

মৌলভীবাজারে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ

মৌলভীবাজার জেলায় সব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক সমাগম নিরুৎসাহিত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল এবং রিসোর্টেগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া আছে পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটক না আসার জন্য যাতে নিরুৎসাহিত করা হয়। এরপরও যদি কেউ হোটেল এবং রিসোর্টগুলোতে আসে, তাহলে তাদের নাম ঠিকানা-ছবিসহ রাখার নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের মনিটারিং টিমের নজরদারি রয়েছে।’

জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের সমাগম নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের তাহিপুরের পর্যটনকন্দ্রেগুলোতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটানদী, বারিকটিলা, শহীদ সিরাজলেক, ট্যাকেরঘাট, শিমুলবাগানসহ সব পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভ্রমণ ও যাতায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার রাতে এসব কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী।

বিজেন ব্যানার্জি বলেন, ‘জনগণ ও পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন এ নির্দেশনা দিয়েছে।’

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘এসব পর্যটন স্পটে পুলিশের নিয়মিত নজরদারি থাকবে।’

বরগুনার পর্যটন কেন্দ্রেগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বরগুনার সব পর্যটনকেন্দ্রে আগমন নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। বুধবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন ফেসবুক আইডি ‘ডিসি বরগুনা’ থেকে দেওয়া একটি পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘সম্প্রতি সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমরা বরগুনা জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর জন্য সতর্কাবস্থায় আছি। নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যটনকেন্দ্র শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত, টেংরাগিরী ইকোপার্ক ও হরিণঘাটা ইকোপার্কে সব ধরনের পর্যটকদের আগমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত কোনও দেশ থেকে কেউ এলে তাকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এবং তার তথ্য স্থানীয় প্রশাসন ও ডাক্তারকে জানাতে হবে। প্রয়োজনে হটলাইন নম্বর ০১৭৩০৩২৪৮৮৪, ০১৭১১০৭৬৪১৬-এ অথবা ৩৩৩-এ কল করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’ 

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান

সারা দেশে সব ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ঘোষণা করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। একইসঙ্গে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন থেকে বিরত থাকার জন্য সব জেলা ও উপজেলা সাংস্কৃতিক জোট এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার বিকালে জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। 

শিক্ষার্থীদের বাসায় অবস্থানের নির্দেশ

আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিজ বাসস্থানে দেশের সব শিক্ষার্থীর অবস্থান নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোরভাবে এটা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৮ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিনের সই করা এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়।

আদেশে মাঠ প্রশাসনের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশের সব বিভাগের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন এলাকার কমিশনার, জেলার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের প্রশাসনকে কঠোরভাবে নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। পাশাপাশি শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এ নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনও কোনও শিক্ষার্থী এ বন্ধকে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য করে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন করোনা ভাইরাস রোধকল্পে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান নিশ্চিত করা এবং এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও শিক্ষার্থীকে রাস্তায় ঘুরতে দেখলে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি সন্তানদের বাসায় অবস্থান নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে।

/সিএ/আইএ/এফএস/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নারিনকে ছাপিয়ে বাটলার ঝড়ে রাজস্থানের অবিশ্বাস্য জয়
নারিনকে ছাপিয়ে বাটলার ঝড়ে রাজস্থানের অবিশ্বাস্য জয়
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের সংশোধনের উপায় কী
অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের সংশোধনের উপায় কী
সর্বাধিক পঠিত
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
উৎসব থমকে যাচ্ছে ‘রূপান্তর’ বিতর্কে, কিন্তু কেন
উৎসব থমকে যাচ্ছে ‘রূপান্তর’ বিতর্কে, কিন্তু কেন
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়