X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

করোনার কারণে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বাড়তি সতর্কতা

যশোর প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০২০, ১৮:০৮আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২০, ১৮:১৪

করোনার কারণে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বাড়তি সতর্কতা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যশোর কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ বিশেষ প্রস্ততি গ্রহণ করেছে। কারা বাউন্ডারিতে কেউ ঢুকলেই মূল গেট থেকে সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে ভেতরে নেওয়া হচ্ছে। নতুন কোনও বন্দি এলে কারা অভ্যন্তরে চারটি নতুন ওয়ার্ড করে সেখানে রাখা হচ্ছে।

বন্দিদের বাইরের পোশাক খুলে নতুন পোশাক এবং মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। বয়োবৃদ্ধ, সর্দি-কাশি, জ্বর মাথা ব্যথাসহ কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজার রাখার জন্য প্রতি ওয়ার্ডের দরজায় রাখা হয়েছে সাবান ও পানি। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বন্দিদের ওয়ার্ডের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

গোসলের সময় এক একটি ওয়ার্ডে বন্দিদের গোসল শেষ হলে অন্য একটি ওয়ার্ডের লোকজন বের করে গোসল করানো হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে জীবনুনাশক ছিটানো হচ্ছে। কারারক্ষীদের বেলায়ও এই নিয়মের আওতায় রাখা হয়েছে।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান বলেন, বর্তমানে কারাগারে বন্দি আসামির সংখ্যা ১৩৯৯জন। যার মধ্যে পুরুষ ১৩৩৬ জন এবং নারী ৬৩ জন, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি পুরুষ ৭০৩ ও নারী ৩২, ফাঁসির আসামি ৯৬জন পুরুষ ও নারী ৬জন। এছাড়া হাজতিদের মধ্যে পুরুষ ৫১০ ও নারী ২৫জন। করোনা আতঙ্ক প্রতিরোধে কারাগারে সার্বক্ষণিক ডাক্তার সত্যজিৎ মণ্ডল ও ডাক্তার মাহবুবুর রহমান তত্ত্বাবধান করছেন।

তবে  সতর্কতা গ্রহণের পরেও কারারক্ষী ও বন্দিদের স্বজনদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। তারা কারা অভ্যন্তরে ও জেলগেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে হা-হুতাশ করছেন। কারাবন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসা যশোর সদরের সুলতানপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, ঝুমঝুমপুরের আবু বক্কার, পূর্ববারান্দী পাড়ার কোহিনুর বেগম, ষষ্টীতলাপাড়ার শারমিন, নারাঙ্গালীর নাজমাসহ বেশকয়েক দর্শনার্থী দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও দেখা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান। কারাবন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা আতঙ্কিত।

এ প্রসঙ্গে জেলার বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা সবাই সচেতন হলেই করোনার হাত থেকে রক্ষা পাবো।

এদিকে  যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তবে সাধ্য অনুযায়ী শতভাগ প্রস্তুতি নিয়েছি কারাগারে। হাজতিদের এখন প্রতি ১৫ দিনে একবার দেখা করার ব্যবস্থা করেছি। আর কয়েদিদের ক্ষেত্রে প্রতিমাসে একবার। দেখার লোকের সংখ্যা সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনজন নিকট আত্মীয়।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে কারাগার থেকে বন্দিদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে না। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নিয়ম পালন করা হবে। বন্দি আসামিদের করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে কারা কর্তৃপক্ষ সচেতন দৃষ্টি রাখছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

/এফএএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে জড়ো হবেন ১০ লাখ দর্শনার্থী
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে জড়ো হবেন ১০ লাখ দর্শনার্থী
নামাজ চলাকালে মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক
নামাজ চলাকালে মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
সর্বাধিক পঠিত
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!