X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্দেশনা অমান্য করে হিলিতে কিস্তি আদায়ের অভিযোগ

হিলি প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০২০, ১৮:৩০আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২০, ১৮:৪৭

গণ উন্নয়ন কেন্দ্র করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এনজিওগুলোকে ঋণের কিস্তি আদায় কার্যক্রম বন্ধের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তবে এই নির্দেশনা অমান্য করে হিলিতে বিভিন্ন এনজিওগুলো কিস্তি আদায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কাজ না থাকায় কিস্তির টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় বিপাকে পড়েছেন ঋণ নেওয়া সাধারণ মানুষ।

দিনাজপুরের হিলিতে আশা, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র, জাকস, ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংকসহ ১৫টির মতো বিভিন্ন এনজিও ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অভিযোগ উঠেছে এসব এনজিওগুলোর কর্মীরা গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায় করছেন। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি জুন পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের বিপরীতে কিস্তি আদায় কার্যক্রম বন্ধ করলেও তা তারা মানছেন না।

এদিকে এমন অভিযোগের বিষয় নিয়ে গণ উন্নয়ন কেন্দ্র, জাকস ও আশা নামের দুটি এনজিও অফিসে গেলে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে পালিয়ে যান ম্যানেজারসহ অফিসের অন্য কর্মীরা।

হিলি বাজারের খাদেমুল ইসলাম ও ইসবপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা বাজারে ছোটখাটো দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করি। তবে করোনার বিস্তারের কারণে সরকারিভাবে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এ কারণে আমাদের তেমন কোনও আয় নেই। এরমধ্যে গণ উন্নয়ন কেন্দ্রসহ অন্য এনজিওগুলোর মাঠকর্মীরা বাড়িতে গিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধে চাপ দিচ্ছেন।

হিলির গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের মাঠকর্মী শাফিক বাবু ও রুবেল মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আমরা বকেয়া আদায়ের জন্য গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়েছিলাম, মূলত মেয়াদোত্তীর্ণ যে সমস্ত কিস্তি রয়েছে তার টাকা তুলতে। কিস্তি আদায় বন্ধের কোনও নির্দেশনা আমরা পাইনি।

এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দেশে করোনার বিস্তাররোধে জনগণকে বাড়িতে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে করে কর্মজীবী ও ব্যবসায়ীদের উপার্জন ব্যাহত হচ্ছে, এ অবস্থায় কিস্তি আদায় কার্যক্রম বন্ধের জন্য এনজিওগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরেও আজ বেশ কিছু এনজিওর কর্মীরা গ্রাহকদের বাড়িতে কিস্তি আদায়ের জন্য গিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে এনজিওগুলোর সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকাল থেকে আর কেউ কিস্তি আদায় কার্যক্রম চালাবেন না। এর পরেও কেউ যদি তা করেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
এনার্জি মাস্টার প্ল্যান সংশোধনের দাবিব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!