করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের নদীপাড়া গ্রামের একই পরিবারের ৫ জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর থেকেই পুরো গ্রাম লকডাউন রয়েছে। এ কারণে গ্রামের গবির লোকজন চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন। খাদ্য সংকটের কারণে কেউ কেউ গ্রাম থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ অন্য গ্রামে যাওয়ার চেষ্টাও করেছেন বলে জানা গেছে।
নদীপাড়া গ্রামে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই দিনমজুর। গ্রামের সবাই নিজের বাড়িতে থাকায় তাদের হাতে কোনও কাজ নেই। ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। রবিবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে গ্রামের শতাধিক গবির মানুষের মাঝে ৭ দিনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তবে এ সাহায্য প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে তারা সচেতনতা অবলম্বন করছেন। কিন্তু তাদের গ্রামে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই দিনমজুর।দিন এনে দিন খায়। আমাদের সাহায্যে সবাই এগিয়ে অসুন। ঠাকুরগাঁওয়ের বিত্তবানদের অনুরোধ করবো যেনও খাদ্য সংকট নিরসনে কাজ করেন তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, নদীপাড়া গ্রামের সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। গ্রামের কোনও মানুষ যেনও ঘর থেকে বের না হয় এবং গ্রামের বাইরে কোথাও যেতে না পারে সেজন্য রাস্তা ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে এই গ্রামে কাউকে ঢুকতে এবং কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর হওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সবার প্রচেষ্টায় তাদের খাদ্য সংকট নিরসনে কাজ করতে হবে। বিত্তবানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নদীপাড়া গ্রামের সবাইকে ঘরে থাকার কথা বলা হয়েছে এবং গ্রামের শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও জীবাণুনাশক পাউডার দেওয়া হয়েছে।