গাজীপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে বন্ধুকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় পোশাক শ্রমিক জনিকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুণ্ডি এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে। বুধবার (২৭ মে) বিকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশের কাছে হত্যার কথা শিকার করেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূইয়া জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভাওয়াল গাজীপুর এলাকার একটি মেসে বন্ধু ও সহকর্মী জনির সঙ্গে একত্রে ভাড়া থাকেন কুষ্টিয়া সদর থানার যোগীয়া এলাকার রাজন আলীর ছেলে জাহিদ হাসান (১৯)। গ্রামের বাড়ি একই জেলায় হওয়ায় উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠে। দু’জনই স্থানীয় একটি ডায়িং কারখানায় চাকরি করতেন। জাহিদ প্রায়ই জনিকে গালিগালাজ করতো। এ নিয়ে বন্ধু জাহিদের ওপর ক্ষুব্ধ হয় জনি।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে জাহিদ মেসে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় জনি তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। পরে নিহতের লাশ মেসের পেছনের জঙ্গলে ফেলে দেয়। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ জাহিদের লাশ উদ্ধার করে। তার গলায় ফাঁস লাগানো এবং ডান চোয়ালে থেঁতলানোর চিহ্ন ছিল।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুধবার বিকালে জনিকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জাহিদকে হত্যার কথা স্বীকার করে জনি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।