X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে উৎপাদন বন্ধ রেখে জুটমিল শ্রমিকদের বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
০১ জুলাই ২০২০, ১৮:৪৮আপডেট : ০১ জুলাই ২০২০, ১৮:৫৪

সিরাজগঞ্জে জাতীয় জুটমিলে শ্রমিকদের বিক্ষোভ রাষ্ট্রায়ত্ত জুটমিল বন্ধ ও শ্রমিকদের স্বেচ্ছা অবসরের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুট মিলের শ্রমিকরা। বুধবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু করে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা উৎপাদন বন্ধ রেখে মিলের ভেতরে প্রধান গেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় সিরাজগঞ্জ শ্রমিক লীগের সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক জামায়াতজোট ও বিএনপি সরকারের আমলে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা দেনার দায়ে পড়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন জুট মিল। পূর্বের লে অফ ঘোষণা করা মিলগুলো পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে চালু করা হয়। পরবর্তীতে অধিকাংশ মিলগুলো লোকসান কাটিয়ে উঠে লাভের মুখ দেখতে থাকে। জামায়াতজোট ও বিএনপি সরকারের আমলে সরকারি নীতি নির্ধারকদের অশুভচক্রের ভুলে লোকসানের কবলে পড়েছিলো মিলগুলো। আবার রাষ্ট্রায়ত্ত জুটমিলগুলো বন্ধের পাঁয়তারা করছে। করোনার কারণে বর্তমানে লাখ লাখ লোক বেকার হয়ে পড়ছেন। তার ওপর রাষ্ট্রায়ত্ত মিল-কারখানাগুলো বন্ধ করা হলে আমাদের আর কোনও কাজের সুযোগ থাকবে না। পরিবার-স্বজন নিয়ে পরে বাধ্য হয়ে পথে বসতে হবে।

শ্রমিক বিক্ষোভ
একই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আওরঙ্গ আজিজ স্বপন বলেন, আগামী দু’মাস পর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুটমিল পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে বলে পাট মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসি এরই মধ্যে আমাদের ঢাকায় ডেকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। সারাদেশে পাটকলের সঙ্গে প্রায় তিন কোটি মানুষের রুটি-রুজি জড়িত। পাটকল বন্ধ করলে তাদের পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার সর্নিবন্ধ অনুরোধ এর একটি মানবিক পথ খুঁজে বের করতে হবে। সাবেক জামায়াতজোট ও বিএনপি সরকারের আমলে প্রায় একশ’ কোটি টাকা সিরাজগঞ্জ কওমি জুটমিল দেনা ও লোকসানের কবলে পড়ে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে লে-অফ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে নতুন উদ্যোগ নিয়ে ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় জুটমিল নামকরণে সিরাজগঞ্জ কওমি জুট মিলটির উৎপাদন ফের চালু করেন। বর্তমানে লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় দেনা কাটিয়ে উঠে লোকসান ঝেড়ে ফেলতে শুরু করেছে মিলটি। বর্তমানে এটি এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ঠিকমতো বাজার ধরতে পারছে না। এর জন্য মিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও শ্রমিকরা দায়ী নন। করোনার অজুহাতে মিলটি বন্ধ না করে বরং নতুন পথ খুঁজে বের করতে হবে। যতক্ষণ সরকার বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসবে, সে সময় পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন তারা।

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইউআইইউতে ‘বাংলাদেশের সংবিধান এবং এর শাসন কাঠামো’ শীর্ষক লেকচার অনুষ্ঠিত
ইউআইইউতে ‘বাংলাদেশের সংবিধান এবং এর শাসন কাঠামো’ শীর্ষক লেকচার অনুষ্ঠিত
পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে
পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে
ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
রেসিপি: মসুরের ডাল দিয়ে হাতে মাখা পুঁই শাক
রেসিপি: মসুরের ডাল দিয়ে হাতে মাখা পুঁই শাক
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়