X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাটের বড় তারকা ‘মেসি’ ও ‘বস’!

আবদুর রহমান, টেকনাফ
০৮ জুলাই ২০২০, ২১:২০আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২০, ০০:৫১




মেসি করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাট কতটুকু জমবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে এসব দুশ্চিন্তা পাশ কাটিয়ে টেকনাফে পশুর হাটে এবার বড় তারকা হিসেবে আলোচনায় রয়েছে ‘মেসি’ ও ‘বস’। এই মেসি কিন্তু ফুটবলার নয়, তবু কোরবানির পশুর হাট কাঁপাবে বলে ধারণা স্থানীয় খামারিদের, সঙ্গে আছে ‘বস’। দুটি গরুই সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হবে বলে ধারণা তাদের।

মেসি ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৮ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট, ওজন ১৪ মণ। কালো আর সাদা রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের ষাঁড়টির নাম বিক্রির জন্যই কেবল দেওয়া হয়েছে মেসি। লাল শরীরের বসও পিছিয়ে নেই। এই বসের ওজন ১২ মণ।

বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে টেকনাফ পৌরসভার খায়ুকখালীপাড়ার খামারি মো. আহমেদের খামারে এই ষাঁড় গরু দুটির দেখা মিলে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশি ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরুগুলো দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে মোটাতাজা করেছেন তিনি। এছাড়া তার আরও চারটি মহিষ ও গরু রয়েছে।

খামারি আহমেদ জানান, ‘মেসি’ খুব শান্ত স্বভাবের গরু। ওর কোনও রাগ নেই। কারও দিকে তেড়েও আসে না। আট বছর ধরে আমি গরুর খামার করছি। দুই বছর আগে দুই লাখ টাকায় মেসিকে কিনি। একই সময় লাল রঙের ‘বস’ নামে দেশীয় জাতের গরুটি দেড় লাখ টাকায় কিনে লালন-পালন শুরু করি। ইতোমধ্যে মেসির দাম পাঁচ লাখ এবং বসের চার লাখ টাকা দাম উঠেছে। তবে ১২ লাখ টাকা পেলে গরু দুটি ছেড়ে দেবেন বলে জানান তিনি।

বস আহমেদ আরও জানান, প্রতিদিন দুই বেলা ১০ কেজি করে খাবার খায় গরু দুটি। এরমধ্যে রয়েছে গমের ভুসি, ধানের গুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভাতও খায়। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকার খাদ্য লাগে মেসি ও বসের। কোনও ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করা হয়নি। তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শ নিয়েছি। এবারে কোরবানির বাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচটি পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এরমধ্যে একটি মহিষ রয়েছে, যার ওজন প্রায় ৫০০ কেজি।

এদিকে মেসি ও বসকে দেখতে প্রতিদিনই লোকজন খামারে ভিড় করছেন। গরু দেখতে আসা মো. ফিরোজ বলেন, বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে আসছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, এত বড় গরু আর নেই।

পল্লানপাড়ার আরেক খামারি মোহাম্মদ ওসমান জানান, ‘কোরবানির বাজারে বিক্রির অপেক্ষায় এবার খামারে ১৫ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকারের গরু রয়েছে। কিন্তু করোনাকালে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কেননা, করোনাভাইরাস ও সাধারণ মানুষের পকেটে টাকা না থাকার কারণে এবার সারা দেশের পশুর হাটগুলোতে পশু কম থাকবে। সেই সঙ্গে ক্রেতাও কম থাকবে। কারণ, করোনার কারণে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আবার অনেকে আর্থিক কারণে পশু কেনার চিন্তাই করবেন না। ফলে লোকসানও বেশি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, টেকনাফে দেড় শতাধিক খামারি রয়েছেন। তবে এর মধ্যে বড় খামারি ৬৭ জন। এসব খামারির কাছে সাড়ে ৮ হাজার গরু, মহিষ ও ছাগল মজুত রয়েছে, যা কোরবানির হাটে তোলা হবে। কিন্তু উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের হিসাব করা হলে এক হাজার পশুর সংকট থাকবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ধরা হলে এক হাজার পশুর সংকট থাকবে। তবু করোনাভাইরাসের মধ্যে খামারিরা গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

/টিটি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা