উজানের পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ফুলগাজি ও পরশুরাম উপজেলার অংশে নতুন করে আরও ৫টি স্থান ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ৯টি স্থানে বাঁধ ভেঙে ১৩ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফাটল দেখা দিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানেও।
সোমবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বিরাজ করছিল বলে জানিয়েছেন ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন।
তিনি জানান, রবিবার রাত থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার দেড় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীর পানি বিপদসীমার মধ্যে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুরের তিনটি স্থানে ও কিসমত ঘনিয়া মোড়া গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই স্থানে ও পরশুরাম উপজেলার চার স্থানে ভেঙে গেছে। এতে ওই এলাকার এক হাজার ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। মাছের খামার, পুকুর ও রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হয়েছে। শ্রোতে ভাঙন অংশ ক্রমেই বড় আকার ধারণ করছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে ফাটল মেরামতের চেষ্টা করলেও পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় স্রোত বেশি।ফলে তারা বাঁধের কাজ করতে পারছে না।
পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, নদীর দক্ষিণ শালধর ও দূর্গাপুর এলাকায় গত বছরের ভাঙনের স্থানে এবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। ফেনী পরশুরাম সড়কে পানি উঠে গেছে। এই যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।