বগুড়ায় যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার বন্যাদুর্গতদের অনেকে এখনও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বা জলমগ্ন বাড়িতে অতিকষ্টে বসবাস করছেন।
রবিবার (৯ আগস্ট) বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, সকাল ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার এবং বাঙালি নদীর পানি ১০ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুটি নদীর পানি কমলেও বাড়িঘরে ফেরার অবস্থা না থাকায় দুর্গতরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে আছেন। অনেকে ডুবে যাওয়া বাড়ির কাছে বাঁশের মাচা তৈরি করে সেখানে অতিকষ্টে বসবাস করছেন। তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মণ্ডল জানান, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ২৪ ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়। এই তিনটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৪০ হাজার ২৭৩ পরিবারের এক লাখ ৬৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাদুর্গতদের মাঝে নগদ টাকা ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।