মেহেরপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া গণপরিবহনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা গেছে। পরিবহনের ভেতরের পরিবেশও বেশ ভালো। জেলা বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, 'দুরপাল্লার বাস এবং আন্তঃজেলা পরিবহনে ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও হেল্পাররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা এবং যাত্রীদের তা মেনে চলতে বলছে কিনা তা তদারকি করা হয়। এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি।'
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে মেহেরপুর-ঢাকা জেআর পরিবহনের ড্রাইভার মন্টু বলেন, আমরা করোনাকালে নিজ স্বর্থেই পরিবহনের ভেতরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মেহেরপুর-ঢাকা রয়েল পরিবহনের সুপার ভাইজার রানা বলেন, বর্তমানে যাত্রীসংখ্যা অল্প এবং প্রায় সবাই শিক্ষিত, সবাই মাস্ক ব্যবহার করেন। কেউ মুখে দিয়েই গাড়িতে ওঠে আবার কেউ হাতে নিয়ে গাড়িতে ওঠে মুখে মাস্ক দিচ্ছেন। আর গাড়ির ভেতরে মাঝে মধ্যেই স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। যাত্রীরা চাইলে তাদের হাতেও দিই।
শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, গাড়ীর ভেতরের পরিবেশ ভালো, আর আমরা যাত্রীরাও সবাইকেই দেখছি মাস্ক ব্যবহার করতে। হাতে স্যানিটাইজার চাইলেও সুপার ভাইজার দিচ্ছে।
রয়েল পরিবহনের যাত্রী পিন্টু বলেন, বর্তমানে পরিবহনগুলোতে ভ্রমণে সবচাইতে বড় অসুবিধা হলো যে, এতবড় গাড়ি আর যাত্রী অর্ধেকেরও কম। ডাবল সিটে একজন মানে পাশে কেউ নেই। গল্প করার বা কথা বলার সুযোগ না থাকায় একটানা ৬-৭ ঘণ্টার ভ্রমণে বোবা মানুষের মতো বোর হতে হচ্ছে।
জেআর পরিবহণের মেহেরপুর কাউন্টার মাস্টার ডাবু মিয়া বলেন, ঈদ পরবর্তী দেড় সপ্তাহ যাত্রী সংখ্যা ভালো ছিল। সব পরিবহনেরই অর্থাৎ ৪০ সিটের গাড়িতে ডাবল সিটে সিঙ্গেল যাত্রী হিসেবে ২০ জন যাত্রী নিয়ে গাড়ি ছেড়েছি। কিন্তু এখন যাত্রী একেবারেই কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ কোথাও যাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, করোনার আগে দৈনিক শুধু জেআর পরিবহনেরই ২২টি গাড়ি মেহেরপুর-ঢাকা যাতায়াত করতো। সেখানে বর্তমানে ১০-১২ টি গাড়ি যাতায়াত করছে, তাও যাত্রী কম।
মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, পরিবহনের ভেতরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা চলছে। এর জন্য শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, ড্রাইভার, সুপার ভাইজার ও হেল্পারদের পরামর্শ দেন ও তদারকি করেন বলেও জানান তিনি।