কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে হাসিনুর রহমান (২০) নামের এক যুবক নিহত হওয়ার খবরে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে কবর থেকে নিহতের মরদেহ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের ইটালুকান্দা গ্রামে নিহতের কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পুলিশ। এ সময় বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। রৌমারী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত বুধবার (১২ আগস্ট) মধ্যরাতে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের চরইটালুকান্দা সীমান্তের ১০৫২-১০৫৩ সীমান্ত পিলারের কাছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে হাসিনুর রহমান নামে ওই যুবক নিহত হয় বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল হক জানান, মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে এবং মধ্যরাত দেড়টার দিকে চরইটালুকান্দা সীমান্তে গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। প্রথম দফায় কারও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও পরের দফায় হাসিনুর নামে চরইটালুকান্দা গ্রামের এক যুবকের নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত হতে ওই যুবকের বাড়িতে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা গেলেও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বাড়ির অদূরে একটি নতুন কবর খুঁজে পাওয়া যায়। সম্ভবত আইনি ঝামেলা এড়াতে নিহতের স্বজনরা মরদেহ দাফন করে এলাকা ত্যাগ করে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে হাসিনুর নিহত হওয়ার পর আইনগত ঝামেলা এড়াতে নিহতের স্বজনরা বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গাছবাড়ি পূর্বমাঝের চর নামক ফাঁকা জায়গায় গোপনে লাশ দাফন করে আত্মগোপনে চলে যায়।
জানা যায়, নিহত হাসিনুর চরইটালুকান্দা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
ওসি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম জানান, আদালতের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মরদেহের বুকের বাঁ পাশে একটি ছিদ্র দেখা গেছে। এ সময় নিহতের পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলেও জানান ওসি।