সিলেট বিভাগে ধর্ষণের ঘটনা আগের তুলনায় বেড়েছে। এ বছর সিলেট ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) যৌন হয়রানি কিংবা নানাভাবে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন ৪১৩ জন। এরমধ্যে গত ৮ মাসে ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৪০ জন। প্রেম কিংবা বিয়ের প্রলোভনে বেড়েছে ধর্ষণ। এসব ঘটনায় থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।
সিলেট ওসিসি সূত্র জানায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর সিলেট বিভাগে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ছিল যৌতুক কিংবা স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক বিরোধে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সেই সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে অনেক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। জানুয়ারি মাসে সিলেট ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভিকটিমের সংখ্যা ছিল ৬১ জন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫০ জন। ফেব্রুয়ারি মাসে ওসিসিতে চিকিৎসা নেন ৬৮ জন ভিকটিম, এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫০ জন। মার্চ মাসে ওসিসিতে চিকিৎসা নেন ৬৭ জন, এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫২ জন। এপ্রিল মাসে ওসিসিতে চিকিৎসা নেন ২৪ জন, এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ২৩ জন। মে মাসে ওসিসিতে চিকিৎসা নেন ২৮ জন, এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ২৬ জন। জুন মাসে ওসিসিতে চিকিৎসা নেন ৪৫ জন, এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ৩৭ জন। জুলাই মাসে ওসিসিতে চিকিৎসা নেন ৪৫ জন, এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ৪৩ জন। আগস্ট মাসে ওসিসিতে চিকিৎসা নেন ৫৮ জন, এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ৪৮ জন। সেপ্টেম্বর মাসে (৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ওসিসিতে চিকিৎসা নেন ১৭ জন ভিকটিম। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ১১ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসিসি’র আইন বিষয়ক কর্মকর্তা পান্না সমাদাস। তিনি জানান, ২০১৯ সালে সিলেটে ধর্ষণের ঘটনা অনেকটা কম ছিল। তবে ওই বছর যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহে আক্রান্তের ঘটনা ছিল বেশি। তবে এ বছর সিলেট বিভাগে বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা। বেশিরভাগ ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেছে প্রেম সংক্রান্ত কারণে।