দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাস ভবনে ঢুকে তাকে ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর শেখকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় তার বাবা প্যারালাইজড হয়ে পড়েছেন। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওমর শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঘটনায় পর দিন সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় নিউরোসার্জারী ওয়ার্ড থেকে ভিআইপি কেবিনে নেওয়া হয়। বর্তমানে তার কোমর থেকে নিচের পুরো অংশই প্যরালাইইজড হয়ে পড়েছে। কথা বলতে এবং খেতে পারলেও তিনি চলাচল করতে পারছেন না। আপাতত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রংপুর মেডেক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল। ঘটনার রাতে সন্ত্রাসীরা তার ঘাড়ে আঘাত করে। এতে তার স্পাইনাল কর্ডে মারাত্মক ইনজুরি হয়। সাধারণত এ ধরণের জটিলতায় চার হাত-পা অবশ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তার দুই হাত কিছুটা সচল থাকলেও নাভির নিচ থেকে পুরো অংশ অবশ হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত এ ধরণের সমস্যা সেরে উঠতে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগে। আপাতত তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। তার চিকিৎসা সেবায় একটি মেডিক্যাল টিম সর্বক্ষণ কাজ করছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের সুপারিশ করে সেই টিম। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানোর আদেশ দেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ সময় রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম’সহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালের পরিচালক জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর নির্দেশনা পাওয়ার পরই তাকে পাঠানো হয়েছে।