ভারত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি হলেও দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে কোনও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আটকে থাকা পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকের লোড এক্সপোর্ট (লিইও) করা না থাকায় বেনাপোল বন্দরে কোনও ট্রাক আসতে পারেনি।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞায় আটকে পড়া পেঁয়াজের একটি অংশ ভারত সরকার ছেড়ে দেওয়ার সম্মতি দিলেও শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেনাপোলে কোনও ট্রাক আসছে না এবং কবে নাগাদ আসবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি ওপারের রফতানিকার সংশ্লিষ্টরা।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধে ভারতের আদেশ প্রত্যাহার করতে আহ্বান জানানোর পর পূর্বের ঋণপত্রের (এলসি) পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানির নির্দেশনা দিয়ে শুক্রবার রাতে বন্দর ও কাস্টমসহ বিভিন্ন দফতরে পত্র দিয়েছেন সিবিআইসি। সেই পত্রে বলা হয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের সব শুল্ক কাস্টমসে নির্দেশনা দেওয়া হয় বাংলাদেশে ৭৫০ মার্কিন ডলারের নিচে পেঁয়াজ রফতানি করা যাবে না। বাংলাদেশের আমদানিকারকদের দাবি ও সরকারি তৎপরতায় ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের রফতানিকারকরা পেঁয়াজ রফতানির আবেদন জানান। তারই পরিপেক্ষিতে ১৮ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় শুল্ক অধিদফতর। তবে শনিবার সকালে ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দর এলাকার যে সব পেঁয়াজের ট্রাকের লোড এক্সপোর্ট (লিইও) করা ছিল, শুধু সেই ট্রাকগুলো বাংলাদেশে যাবে এমন নির্দেশনা দেওয়ার পর এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে নতুন করে লিইও করার জন্য প্রস্তুুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে নতুনভাবে লিইও করার পর সেটি কার্যকর হবে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি কার্তিক চক্রবর্তী ।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আকসির মোল্লা জানান, নিয়মানুযায়ী ভারত থেকে কোনও পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের সময় কাস্টমস থেকে গেট পাশ নিতে হয়। সকাল থেকে ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্টের পক্ষ থেকে কোনও গেট পাশ গ্রহণ না করায় শনিবারও পেঁয়াজের কোনও চালান আসেনি বেনাপোল বন্দরে।